বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার অবসরে গেলে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে রাশিদা আক্তার ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদের পাশাপাশি রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
দুদকে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকায় রেজিস্ট্রারের পূর্ণ দায়িত্ব এখনও পাননি। তিনি যোগদানের পর থেকে নানা রকম দুর্নীতিতে লিপ্ত হন।
যার অন্যতম, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অবৈধ পন্থায় ৩ জন লোক নিয়োগ। এই নিয়োগে প্রতি পদের বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা করে লেনদেন হয়। এই নিয়োগের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু অসৎ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাশিদাকে রেজিস্ট্রার বানানোর জন্য তোড়জোড় করছেন।
যার ফলে যেকোনো সময় রাশিদা আক্তার রেজিস্ট্রার হবেন, এমনটাই সবাই বলছেন। বর্তমানে দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য প্রচুর টাকাও খরচ করেছেন। অবৈধ পন্থায় ভুয়া বিল বানিয়ে এই টাকার সংস্থান করছেন। বিশেষ করে নার্সিং কাউন্সিলে তার আস্থাভাজন ২-৩ কর্মচারী অফিসে বিভিন্ন পন্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে চলেছেন।
তারা টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না। কাউন্সিলে গিয়ে দেখা যায়, নার্সিং কাউন্সিলের অধিভুক্ত নার্সিং প্রতিষ্ঠান থেকে আগত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। তাদের ফেভারের (কাছের) লোক হলে বসতে দেওয়াসহ সবকিছু করে দেওয়া হয়।
রাশিদা আক্তার রেজিস্ট্রারের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সচিবালয়ে ধরনা দিচ্ছেন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষার সচিবসহ, অতিরিক্ত সচিব চিকিৎসা শিক্ষা, যুগ্ম সচিব নার্সিং তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরা দুদকের তদন্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। অথচ ২০১৬ সালে রাশিদা আক্তার যখন ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসাবে যোগদান করেন তখন তিনি নারী ও শিশু নির্যাতনসহ চারটি মামলার আসামি ছিলেন।
দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার ই/আর নং-৮৮/২০২২ বিশেষ তদন্ত এবং মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-২৪৯০/২০২২ চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় দুদক কর্তৃক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি না করেই এরকম একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করালে নার্সদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য শিক্ষার সচিবকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল ধরেননি।