বৃহস্পতিবার, ০২:৪৩ অপরাহ্ন, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিতের নেপথ্যে কে?

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৯ বার পঠিত

দিন-তারিখ ঘোষণা করেও হঠাৎ করেই স্থগিত করা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন। প্রায় ছয় বছর পর আগামীকাল শনিবার এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্মেলন না হওয়ার কথা আজ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন পদপ্রত্যাশী নেতারা।

তাদের দাবি, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সায় না মেলায় হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতারা। এই সিদ্ধান্তে হতবাক হওয়ার কথা জানিয়ে তারা বলেন, ক্যাম্পাসে সম্মেলন না করে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পকেট কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হলে নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ বাড়বে।

সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ২৫তম সম্মেলনের মাধ্যমে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে রাবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠিত হয়। এক বছর মেয়াদী এই কমিটি দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর নেতৃত্বে ছিল। এর মধ্যে অধিকাংশ নেতা ছাত্রত্ব শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ, বিয়েসহ নানা কারণে ক্যাম্পাস ছাড়েন।
নতুন কমিটি গঠন করতে গত ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৯৪ জন প্রার্থী তাদের জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২২ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৭২ জন প্রার্থী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ডজন খানেক নেতা ছিলেন আলোচনার তুঙ্গে। সম্মেলন ঘিরে ক্যাম্পাসে বেশ কিছুদিন ধরেই নেতাকর্মীদের মাঝে সাজ সাজ রব পড়ে যায়।

রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আফি আজাদ বান্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে সম্মেলন নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ব্যস্ত। এই মুহূর্তে রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু পদপ্রত্যাশীদের সিভি জমা নিয়েছি, তাই প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি জানিয়ে দেওয়া হবে।’

এমন ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। তারা বলছেন, হঠাৎ করেই সম্মেলনের আগের দিন অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি আবারও গতিশীল হোক—এটি সব নেতাকর্মীই চান। আমরা সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কী কারণে শেষ মুহূর্তে সম্মেলন স্থগিত হলো—তা জানা নেই। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় অভিভাবকদের সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা সম্মান জানাই।’

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আল মোক্তাদির তরঙ্গ বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার কথা। সে মোতাবেক সব প্রস্ততি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকদিন ধরেই সম্মেলন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভিভাবকরা সম্মেলন করতে চাচ্ছেন না। তবে কী কারণে তারা সম্মেলনের বিপক্ষে সেটিও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, ঢাকা থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হবে।’

সম্মেলনের বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনে আসবেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি। তাই আমরা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে পারিনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com