কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার ছয় আসামিসহ ৮ শিক্ষার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তারা রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেকারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত বনিক বলেন, মুক্তির আদেশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারে আসলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রাত ৮টার দিকে জামিন শুনানি করেন লিগ্যাল এইড আইনজীবী শামীম আল মামুন। শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফ এম আহসানুল হক রানা।
রংপুর সিমএমএম আদালতের জিআরও এসআই হাফিজ বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জামিন হওয়া আট শিক্ষার্থীর মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, মুহিন, আল মারজান, পাভেল মিয়া, আমির হামজা ওরফে আমির, মো. সৌরভ মিয়াকে তাজহাট থানা ভাঙচুর ও আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি করা হয়। বাকি দুইজন তৌফিক ওমর ধ্রুব ও নিয়াজ আহমেদ রকি নাশকতা মামলার আসামি।
এর মধ্যে আমির হামজা ও তৌফিক ওমর ধ্রুব এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পাভেল মিয়া এসএসসি পাস।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত আদালত) শুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে জানতে পারি তারা শিশু-কিশোর। পরে তাদের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হলে শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়। কোন শিশু-কিশোর আটক বা গ্রেপ্তার থাকলে তাদের জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১৬ বছরের শিক্ষার্থী আলফি শাহরিয়ার মাহিমকে রংপুর শিশু আদালত-১ এর বিচারক মোস্তফা কামাল জামিন দেন।