রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার (৩ ডিসেম্বর)। সমাবেশকে কেন্দ্র করে পথে পথে তল্লাশি চালাচ্ছে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ। রাজশাহীর বিভিন্ন প্রবেশপথ থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনেও চলছে তল্লাশি।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, তল্লাশি করতে গিয়ে সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে পুলিশ। আবার অনেককেই রাজশাহী শহরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদেরকে বাড়ি ফেরত পাঠানো হচ্ছে। গত বুধবার থেকে এ অবস্থা চলছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের।
এ ব্যাপারে শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু বলেন, পুলিশি বাধা এবং হয়রানি উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে লাখো নেতা-কর্মী রাজশাহী শহরে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাধা দিয়ে হয়রানি করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমাগম ঠেকানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ঈদগাহ মাঠে নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য তাঁবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা দেয়। ফলে অনেক নেতা-কর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে বাধ্য হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া, বেলপুকুর, কাটাখালি ও তালাইমারি; রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর, নওহাটা ও নওদাপাড়া এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী ও কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, নগরীর প্রবেশ পথগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তবে হয়রানি ও অনেককে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
অপরদিকে, রাজশাহী বিভাগজুড়ে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ১০ দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজশাহী থেকে কোনো রুটে বাস ছেড়ে যায়নি। এ কারণে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে ধর্মঘট শুরুর আগেই রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। অনেকে হেঁটেই এসেছেন সমাবেশস্থলে।
ধর্মঘটে বাস বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অটোরিকশা বা ছোট বাহনে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন। এজন্য তাদের বাড়তি ভাড়াও গুনতে হচ্ছে। এছাড়া চাপ বেড়েছে ট্রেনে।