রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানেও থেমে নেই সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের দৌরাত্ম্য। কী দিন, কী রাত সর্বদা ওঁৎ পেতে আছে, যত্রতত্র। অধিকাংশ সময়ই র্যাব-পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে অপকর্ম সারে তারা। মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারে ভুলিয়ে-ভালিয়ে কিংবা জোর করে তুলে নিয়ে যায় তারা। এর পর সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি চলে স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়। মুক্তিপণ না পেলে অপহৃতকে মেরে ফেলতেও কুণ্ঠাবোধ নেই। এর পর এসব লাশ মিলছে ঝোপঝাড়, নদীনালা, ডোবাখালে। এ যেন অপ্রতিরোধ্য!
চক্রগুলো এতটাই ভয়ঙ্কর যে, র্যাব-পুলিশের মতো চেকপোস্ট বসিয়েও তল্লাশির নামে সর্বস্ব লুট করছে। এমনও দেখা গেছে, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করে চক্রের নারী সদস্যদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর ‘অশ্লীল ছবি’ তোলা হচ্ছে, ভিকটিম যেন মান-সম্মানের ভয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ না করে। এমন অপকর্মে কিছু পুলিশ সদস্যও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তারাও র্যাব বা সিআইডির নাম করে পথচারীদের তুলে নিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি নগরীর বিভিন্ন স্থানে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এহেন অপরাধ। রাতে তো বটেই, দিনদুপুরেও উধাও হয়ে যাচ্ছে জলজ্যান্ত মানুষ।
ঢাকা মহানগর পুলিশসূত্র ও আমাদের সময়ের অনুসন্ধান বলছে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত খোদ রাজধানীতে অপহরণের শিকার হয়েছেন ২১৩ জন। সেই হিসাবে রাজধানীতে গড়ে এক দিন পর পর একজন অপহরণের শিকার হচ্ছেন। একই সময়কালে অপহরণের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ১০৩টি। নিখোঁজ-সংক্রান্ত জিডির সংখ্যা দুই শতাধিক। অপহরণকাণ্ডে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুরাহা হচ্ছে না। আবার অপরাধীদের হুমকি-ধমকির কারণে অনেক ভুক্তভোগী বা তাদের স্বজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের কাছে অভিযোগ জানাতেই সাহস পাচ্ছেন না। অনেক স্বজন র্যাব-পুলিশকে না জানিয়ে অপহরণকারীদের হাতে মুক্তিপণের টাকা তুলে দিচ্ছেন। সরকারি খাতায় এসব ঘটনা লিপিবদ্ধ হচ্ছে না।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, র্যাব ও পুলিশের মতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যেসব অপহরণ-গুমে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠছে, সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ায় দুর্বৃত্তরাও এখন এ পদ্ধতিতে অপরাধ করতে উৎসাহ পাচ্ছে। গাড়িতে কালো গ্লাস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও মানা হচ্ছে না। প্রশাসনের পর্যাপ্ত নজরদারিরও অভাব রয়েছে, বিশেষ করে রাতের ঢাকায়। ফলে দুই-একটি ঘটনায় কিছু অপরাধী ধরা পড়লেও ঠেকানো যাচ্ছে না ভয়ঙ্কর এসব কাণ্ড। নজরদারি জোরদার করা এবং এসব কাণ্ডে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দ্রুত ও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে এমন অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে না।
ডেমরার সাইনবোর্ড এলাকার ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদ গতকাল বৃহস্পতিবার আমাদের সময়কে জানান, তিনি সপরিবারে কলাবাগান থানাধীন কাঁঠালবাগান এলাকায় বসবাস করেন। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ব্যবসায়িক কাজে টঙ্গী যাচ্ছিলেন তিনি। ৮০ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ফার্মগেট থেকে একটি বাসে ওঠেন তিনি। দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিমানবন্দর গোলচত্বরের অদূরে বাসটি যাত্রী নামানোর জন্য সাইড করে। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর সিটের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা অচেনা এক যুবক আব্দুর রশিদের শরীরে বমি করে দেন। বমি পরিষ্কার করতে তিনি দাঁড়াতেই ওই যুবক তার প্যান্টের পকেট থেকে কৌশলে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে দৌড় দেন। রশিদও যুবকের পিছু নিয়ে চোর চোর বলে দৌড়াতে থাকেন। বিমানবন্দর পুলিশ বক্সের পেছনেই অচেনা সেই যুবককে (পরশ শেখ) ধরে ফেলেন। সোয়া ২টার দিকে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পরশের সহযোগী অমিত ও নিলয় হাতে ওয়াকিটকি ও হ্যান্ডকাপ নিয়ে পরশকে তাদের হেফাজতে নেয়। একপর্যায়ে তিনজনই আটক চোরের হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে রেলগেটসংলগ্ন একটি সিএনজি অটোরিকশা (নম্বর-ঢাকা মেট্রো-থ-১৩-৮৪৮২) থামিয়ে ব্যবসায়ী রশিদ ও চোর পরশকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সিএনজিতে ওঠায়। পরশসহ তারা ৪ জন সিএনজির পেছনে বসেন। সিএনজির চালক বাছেদের সঙ্গে চালকের সিটে বসেন চক্রের সদস্য নিলয়। একপর্যায়ে চলন্ত সিএনজিতেই পরশের হাতের হ্যান্ডকাপ খুলে দেওয়া হয় এবং রশিদকে ধমক দিয়ে তার ফোন বন্ধ রাখার হুকুম দেওয়া হয়। সিএনজি মিরপুর ৬ নম্বর সনি হলের কাছে থাকা পেট্রোল পাম্পের কাছে পৌঁছলে চালকের পাশে বসা নিলয় নেমে যান। অন্যরা রশিদকে নিয়ে মিরপুর দিয়াবাড়ী বেড়িবাঁধের মোড় হয়ে একটি গলির ভেতরে নিয়ে যাওয়ার সময় অপহৃত হতে যাচ্ছেন আঁচ করে ব্যবসায়ী রশিদ কৌশলে সিএনজি থেকে নেমে দৌড়ে পাশের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্মরত পুলিশকে সব খুলে বলেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য রশিদকে তার মোটরসাইকেলে উঠিয়ে দিয়াবাড়ী মোড়ের ওই গলিতে যান। সেখানে গিয়ে চক্রের সদস্য পরশ শেখকে আটক করতে পারলেও পালিয়ে যায় অন্যরা। এ কাণ্ডে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং তার ছিনতাইকৃত অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে এ প্রতিবেদকের কাছে আক্ষেপ করেন ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার এসআই আফতাব উদ্দিন অবশ্য বলছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মোবাইল ফোন চোর সন্দেহে তল্লাশির নামে গত ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ কাউন্দিয়ার মিরপুর বাজার এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল দুর্বৃত্ত টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় ব্যবসায়ী মো. শামীমকে। এর পর তার মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। শামীমের চোখমুখ বেঁধে নৌকাযোগে দিয়াবাড়ী ঘাট পার হয়ে তারা গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি নির্জন মাঠে নিয়ে ব্যবসায়ীর হাত-পা বেঁধে গলায় জামা পেঁচিয়ে গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। কিছু সময় পর মৃত ভেবে চলে যায় ৪ জন। সারারাত ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা শামীমের পা খুবলে খুবলে খেয়েছে শিয়াল। এভাবেই পর দিন সকাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন শামীম। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে কাপাসিয়া থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কাপাসিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিন দিনের চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হন তিনি। গত ১৩ জানুয়ারি সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেন শামীম। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মামলা হয়নি; পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি অপহরণকারী চক্রের কাউকেই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার এসআই সুব্রত দাস আমাদের সময়কে বলেন, শামীমকে অপহরণকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আশিয়ান সিটির কাশবন এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক মোস্তফার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ৭ ডিসেম্বর দক্ষিণখানের মহিলা কলেজ রোডের বাসা থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি মোস্তফা। এ গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গাজীপুরের কালীগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয় আরেক অটোরিকশাচালক জিহাদের গলা কাটা লাশ। গত ২৫ ডিসেম্বর বিকালে ভাড়ায়চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি তিনি। এই ক্লু ছাড়া হত্যাকাণ্ডের অভিযানে নেমে গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি মৌলভীবাজার, রাজনগর, ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গুম-ছিনতাইয়ের একাধিক ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন খালেদ খান শুভ, টিপু, হাসানুল ইসলাম ওরফে হাসান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মজিদ ও সুমন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, চক্রটি যাত্রী সেজে তাকে নির্জন স্থানে গিয়ে মোস্তফার অটোরিকশা ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে গলা কেটে হত্যা করে। প্রায় একই সময়ে তারা অন্য একটি অটোরিকশার চালককেও হত্যার পর তার মরদেহ রোডের পাশে ড্রেনে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগরীয় থানা ও ঢাকার আশপাশের জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা, গুম ও ছিনতাই ঘটনায় আরও মামলা রয়েছে বলে জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় করে মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি কালো রঙের নোয়াহ গাড়ি তার গতিরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে গাড়িতে তোলে। তার সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় চক্রের সদস্যরা। পরে ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ ঘুরিয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে মাওয়ার দিকে চলে যায় মাইক্রোবাসটি। গত ১ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে এই চক্রের সদস্য পীযূষ সুর, হারুন, জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন ও খোকনচন্দ্র দেবনাথকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, চক্রটি পারস্পরিক যোগসাজশে প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে। এর পর ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা বা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়া লোকদের এবং মানি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে জড়িতদের টার্গেট করে চক্রটি। এর পর টার্গেটের পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে ব্যারিকেড দেয় এবং ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়। এর পর ভিকটিমের সঙ্গে থাকা অর্থকড়ি ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে ফেলে যায়। চক্রের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে। ডিবি পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠতে বললেই পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কাউকে গাড়িতে না ওঠারও পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে মো. মহিউদ্দিন খান নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে একটি পাজেরো গাড়িতে উঠিয়ে মারধর করে তার ২০ লাখ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে গত ৫ ডিসেম্বর মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৪ অফিসের সামনে থেকে নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এর পর অপহৃতের এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে সেই টাকা দিয়ে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার স্বর্ণ কেনে চক্রের সদস্যরা।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে ভুয়া সিআইডি পরিচয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী ও দলটির কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মাহবুব আলী খানকে অপহরণ করে। পরে তাকে নির্যাতন করে তার কাছ থেকে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৬০ টাকা আদায় করে চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত ৮ নভেম্বর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। এর পর এ অপহরণ ও অর্থ আদায়ের সঙ্গে পুলিশের তিন কনস্টেবলের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) কর্মরত কনস্টেবল মুনশি আবদুর রহমান ও শেখ ফরিদ এবং সুনামগঞ্জে কর্মরত নাজমুল হোসেন এবং গোপালগঞ্জের জুবায়ের শিকদার, বরিশালের আমিন খান ও শরীয়তপুরের বোরহান উদ্দিন শিকদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।