সারাদিন রোজা রেখে তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন পানি ও পানীয়। ইফতারে বিভিন্ন ধরনের শরবত ও পানীয় খেতে পছন্দ করে সবাই। কিন্তু সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত কি না এ ব্যাপারেও খেয়াল রাখা উচিত।
সুস্বাদু ও সহজে তৈরি করা যায় এমন কিছু স্মুদি রেসিপি দেখে নিন
জিন্জার বুস্টার পিনাকোলডা
যা যা লাগবে
আনারস ২ কাপ, আদা (কুচি) ১ চা চামচ, কমলার রস ১ কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর একটি গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা জুস ঢেলে পরিবেশন করুন।
ডেট আলমন্ড শেক
যা যা লাগবে
খেজুর (কুচি) ১ কাপ, কাঠবাদাম ৩ টেবিল চামচ, দুধ দেড় কাপ, চিনি পরিমাণমতো, বরফকুচি পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ওপরে ব্লেন্ড করে রাখা মিশ্রণ ঢেলে পরিবেশন করুন।
ক্যারোট আপেল হাইড্রেটর
সাদা পানি: স্বাস্থ্যকর পানীয়র মধ্যে প্রথমেই থাকবে সাদা পানি। চিনি, লবণ ছাড়া শুধু সাদা পানি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পানীয়। ইফতারের শুরুতেই সাদা পানি খান।
ডাবের পানি: রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থেকে কাজ করার ফলে ঘাম হয়। ফলে ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স হয়। ডাবের পানি প্রাকৃতিকভাবে মিনারেলস সমৃদ্ধ পানীয়। ইফতারে এক গ্লাস ডাবের পানি খেলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স হবে।
লেবু পানি: পানি ও লেবুর সঙ্গে এক চিমটি পরিমাণ লবণ, বিট লবণ বা পিংক সল্ট মিশিয়ে পান করতে পারেন। চিনি দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই লেবু পানিও চমৎকারভাবে শরীরের ইলোকট্রোলাইট ব্যালান্স করতে সাহায্য করবে। সারাদিনে শরীরে যে ভিটামিন সির ঘাটতি তৈরি হয়, সেটিও পূরণ করবে এটি। ভিটামিন সির চাহিদা পূরণ হলে রোজার মাসে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি হওয়ার ঝুঁকি একটু কমে যাবে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
আখের গুড়ের শরবত: পানির সঙ্গে আখের গুড় আর একটু লবণ মিশিয়ে শরবত তৈরি করা হলে এটি স্যালাইনের কাজ করে এবং রক্তের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে।
বেলের শরবত: যাদের শরীর বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় তারা বেলের শরবত খাবেন। এটি খুবই উপকারী পানীয়। বেল যদি মিষ্টি না হয় তখন প্রয়োজনে চিনির বিকল্প উপাদান মিছরি, যষ্টিমধু, খেজুরের পাউডার, গুড় ইত্যাদি দিয়ে শরবত তৈরি করা যেতে পারে।