রমজানে পিরোজপুরে বেড়েছে মুড়ির চাহিদা। তাই মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ পেশায় জড়িত শ্রমিকরা। কেমিক্যালমুক্ত আর সুস্বাদু মুড়ি হওয়ায় আশপাশের জেলাগুলোতে রয়েছে এই মুড়ির ব্যাপক চাহিদা।
রমজানে ইফতারের অন্যতম উপকরণ মুড়ি। চাহিদা বাড়ায় পিরোজপুরে মুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। জেলায় সাধারণত দৈনিক দুই হাজার মণ ধানের মুড়ি উৎপাদিত হলেও, বর্তমানে তা সাড়ে চার হাজার মণে এসে দাঁড়িয়েছে। এক মণ ধানে তৈরি হয় ২০ কেজি মুড়ি। প্রতি কেজি মুড়ির বর্তমান পাইকারি মূল্য ৮০ টাকা। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।
এক মুড়ি ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা দুইশ থেকে আড়াইশ বস্তা মুড়ি উৎপাদন করছি। আমাদের জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলায় বরিশালের মুড়ি হিসেবে এর অনেক চাহিদা। তা ছাড়া আমাদের উৎপাদিত মুড়ির স্বাদ অনেকটা হাতের বানানো মুড়ির মতোই। মুড়ির ব্যবসা করে আমাদের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে।’
এদিকে সার ও কেমিক্যালের পরিবর্তে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে লবণপানি দিয়ে মুড়ি তৈরি করায় এখানকার মুড়ি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদিত মুড়ি মোটা ও সুস্বাদু হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মাওলা নকীব বলেন, ‘মুড়ি উৎপাদনে যেন কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার না হয়, আমরা সেদিকে কঠোর নজরদারি রেখেছি।’ পিরোজপুর ব্যবসায়ী সমিতির তথ্যমতে, জেলায় ১১টি মুড়ির মিলে শতাধিক ব্যক্তি দৈনিক প্রায় সাড়ে চার হাজার মণ ধানের মুড়ি উৎপাদন করেন।