রমজান শুরু হতেই সুনসান পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত। শুক্রবার (২৪ মার্চ) ছুটির দিন হওয়ার পরও পুরো সৈকত ছিল ফাঁকা। হাতেগোনা কয়েকজন পর্যটক দেখা যায় জিরো পয়েন্ট এলাকায়। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, ঝাউবন, শুটকিপল্লী, লেম্বুরবনসহ পুরো সৈকত ফাঁকা। তবে গত কয়েক মাস ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকে টইটুম্বুর ছিল এই ভ্রমণ স্পটগুলো।
পর্যটক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর একটানা পর্যটক বাড়তে থাকে কুয়াকাটায়। কিন্তু রমজানের শুরুতে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে সাগরকন্যা খ্যাত এই সমুদ্র সৈকত। তবে ঈদের ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটবে এই প্রত্যাশায় পরিপাটি করা হচ্ছে হোটেল মোটেলগুলো।
ভারত থেকে আসা রবীন্দ্র রায় নামে এক পর্যটক বলেন, আমি কুয়াকাটা উদ্দেশ্য করেই এসেছি ভারত থেকে। অনেক সুন্দর কুয়াকাটা, তবে শুক্রবার ছুটির দিনেও লোকজন নেই। পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ায় মনে হয় লোকজন কম। তবে লোকজন থাকলে ভালো লাগতো।
রহমান নামে এক সৈকত ফটোগ্রাফার বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর একটানা দীর্ঘদিন কুয়াকাটা পর্যটকে ভরপুর ছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে পর্যটক নেই। আশা করি ঈদের পর পর্যটক বাড়বে।
হোটেল সাউথ স্টারের পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, গত ২-৩ মাস প্রতি শুক্রবার আমাদের সবগুলো রুম অগ্রীম বুকিং হতো। কিন্তু শুক্রবার প্রায় ৮০ শতাংশ ফাঁকা ছিল।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম বলেন, রমজানের কারণে আমাদের পর্যটক কিছুটা কমেছে। তবে ১৫ রমজানের পর কিছু পর্যটক এবং ঈদের পরে বেশ অগ্রীম বুকিং রয়েছে। যার ফলে হোটেল-মোটেলগুলো তাদের সার্বিক কাজগুলো সেরে নিচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পয়েন্টকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন টিম কাজ করছে। যেসব পর্যটক এখন কুয়াকাটায় রয়েছে তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।