রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বরে পুলিশ ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল সোয়া ৩টায় নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শামীম নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে একটি মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করার জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় একই অভিযোগে জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী খোরশেদ আলমের সমর্থকরা শাপলা চত্বরে মানববন্ধন করছিলেন। কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরে আসলে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। প্রায় ২৫ মিনিটের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়।
কোতয়ালী থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করার জন্য পরাজিত প্রার্থী শামীমের লোকজন আচরণবিধি ভেঙে শোডাউন নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা তাদের এ নিয়ে বারণ করি। কিন্তু তারা বারণ উপেক্ষা করেই শোডাউন নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা বাধা দেয়ায় তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। তিনি বলেন, বিধির বাইরে কেউ কোনো কিছু করতে চাইলে আমরা জিরো টলারেন্সে তা প্রতিহত করবো।
২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে ফলাফলের রাতেই কুকরুল এলাকায় বিজিবির একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় আড়াইশতাধিক জনতার নামে মামলাও হয়। ওই মামলায় কাউন্সিলর হারাধন রায় হারাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া একই রাতে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলুর বাড়িতে হামলা চালায় অন্য আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী শাহজাদার সমর্থকরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন বের করলে সেখানে ওই ওয়ার্ডের আর এক কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলের সাথে আবারো সংঘর্ষ বাধে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে ইভিএমএ অনিয়মের অভিযোগ এনে গত দুদিন থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ মিছিল করছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাকের পার্টির প্রার্থী খোরশেদ আলম।