বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যে যুদ্ধে নেমেছি তাতে আমরা জয়ী হবই হব ইনশাআল্লাহ। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দানব সরকারকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।’
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আটক রয়েছে। কিন্তু কারো মুখে ক্লান্তি, হতাশা দেখিনি, দেখেছি সকলকে উজ্জীবিত। যতই নির্যাতন আসুক, যতই নিপীড়ন আসুক, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করব।’
তিনি বলেন, ‘যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষ্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। সে আদর্শ এবং লক্ষ্য হচ্ছে তার নিজের দেশকে মুক্ত করা, সকল মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের জন্য, দেশপ্রেমের জন্য যে আন্দোলন চলছে, তাতে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এটা তাদের জন্য গৌরবের কারণ হয়ে থাকবে। যুগে যুগে এই বিসর্জন দিতে হয়, প্রাণ দিতে হয় বড় কিছু করতে হলে। ’৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে আমাদের লাখ লাখ প্রাণ দিতে হয়েছে।’
চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত তিন নেতার পরিবারকে শনিবার দলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন মির্জা ফখরুল।
অর্থ সহায়তা গ্রহণ করেন বাগেরহাটের নিহত নূরে আলম ভূইয়া তানুর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, মেয়ে তানজিনা তাশমি ও শ্বশুর শেখ আওরঙ্গজেব; ঢাকা মহানগর পল্লবী থানা ৫ নম্বর ওয়ার্ড নেতা নিহত মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার বর্ষা ও মেয়ে মিতিলা আক্তার মারিয়া এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নিহত আব্দুর রশিদ আরেফিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আল মাহি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।