শনিবার, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা সারাদেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন হাসিনার দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে : সারজিস শেখ হাসিনাকে পুনর্বহালের ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : জয়নুল আবদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কোনো দেশের সম্পৃক্ততা পেলে দায়ী করা হবে-তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎহীন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ পেঁয়াজের দাম কমছেই, খুশি ভোক্তারা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য মিল-কারখানা, বেকারের আর্তনাদ

যে কাজ বিনা হিসাবে জান্নাতে নিয়ে যায়

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১০৩ বার পঠিত

একটি দলের সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে যাবেন বলে রাসূল (সা.) হাদিসে উল্লেখ করেছেন। কী কাজের জন্য তারা জান্নাতে যাবেন, তাও বলে গেছেন তিনি।

ইবনুল আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার কাছে (স্বপ্নে অথবা মিরাজে) উম্মাতদের পেশ করা হলো। আমি একজন নবীকে একটি ছোট দলসহ দেখলাম, আরেকজন নবীকে একজন-দুজন লোকসহ দেখলাম, আর এক নবীকে দেখলাম যে, তার সঙ্গে কেউ নেই। হঠাৎ করে আমাকে বিরাট একটি দল দেখানো হলো। আমি ভাবলাম, এরা আমার উম্মত। আমাকে বলা হলো, এরা মূসা (আ.) ও তার উম্মত। তবে আপনি আসমানের দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি দেখলাম, সেখানে বিরাট একটি দল। আবার আমাকে আসমানের অন্য দিগন্তে তাকিয়ে দেখতে বলা হলো। আমি দেখলাম, সেখানেও বিরাট দল। তারপর আমাকে বলা হলো, এসব আপনার উম্মত। আর তাদের মধ্য থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে যাবে।

ইবনুল আব্বাস (রা.) বলেন, তারপর রাসূল (সা.) সেখান থেকে উঠে তার হুজরায় গেলেন। এ সময় সাহাবীরা ওই সব লোকের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন যারা বিনা হিসাবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে যাবেন।
কেউ বলেন, বোধহয় তারা ওই সব লোক, যারা রাসূল (সা.)-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। কেউ বলেন, মনে হয় তারা ইসলাম-যুগের জন্মগ্রহণকারী ওই সব লোক, যারা আল্লাহর পথে কোনো কিছুকে শরীর করেননি। এভাবে সাহাবীগণ বিভিন্ন কথা বলাবলি করছিলেন।

রাসূল (সা.) বের হয়ে এসে বলেন, তারা হচ্ছে ওই সব লোক যারা তাবীজ-তুমারের কারবার করে না এবং করায়ও না। আর তারা কোনো কিছুকে শুভ ও অশুভ লক্ষণ হিসেবে গ্রহণ করে না এবং তারা একমাত্র তাদের প্রভু আল্লাহর ওপরই তাওয়াক্কুল করে।

উক্কাশা ইবনে মিহসান (রা.) দাঁড়িয়ে বলেন, আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যাতে তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি বলেন, তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত। তারপর আরেকজন উঠে বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যাতে আমাকেও তিনি তাদের মধ্যে গণ্য করেন। রাসূল (সা.) বলেন উক্কাশা তোমার অগ্রবর্তী হয়ে গেছে। (বুখারী ও মুসলিম)

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com