বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা আমার পরিবার। আজকে আমি প্রায় তিন মাস পরে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। সবার মনে যে আনন্দ বিরাজ করছে তার থেকে ডাবল আনন্দ আমার মনে, এটা তো আপনারা বুঝতে পারছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেলে সেরনিয়াবাত ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। সাদিক আব্দুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন চাইতে ঢাকা যাওয়ার ৮২ দিন পর বরিশাল ফিরলেন। যদিও ততদিনে নগরীর নতুন মেয়র নির্বাচন শেষ হয়েছে।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, যেভাবে আপনারা ছিলেন সেভাবে চুপচাপ থাকেন। আমরা রাজনীতি করি, প্রতিহিংসা নয়। ওয়াদা করেছি বরিশালবাসীকে শান্তিতে রাখবো। আমরা যেন সেই ওয়াদা রাখতে পারি।
তিনি বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ আমার সঙ্গে এসেছেন। এটিই আমার জীবনের পরম পাওয়া। তিনি আগামীকাল অনুষ্ঠানে থাকবেন।এর আগে বিকেল ৪টার দিকে সড়ক পথে নগরীর গড়িয়ার পাড় এলাকায় এসে পৌঁছান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোডাউন করে কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে যান।
সাদিক আব্দুল্লাহর নিজস্ব ফেসবুক পেইজ থেকে করা লাইভে দেখা যায়, নগরীর উপকণ্ঠ গড়িয়ার পাড়ে শতাধিক মোটরসাইকেল তাকে বরণ করে নেয়। এ সময়ে তার গাড়িকে লক্ষ্য কের নেতাকর্মীদের ফুল ছুড়তে দেখা গেছে। গড়িয়ার পাড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে না নামলেও তিনি গাড়ির গ্লাস খুলে কথা বলেন। পরবর্তীতে শোডাউনসহ কালিবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত ভবনে পৌঁছান। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন এবং উড়ন্ত চুমু উপহার দেন। এ সময় নেতাকর্মীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়- সাদিক ভাই আসছে, কী আনন্দ লাগছে।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে গত ১ এপ্রিল সপরিবারে লঞ্চযোগে ঢাকা যান সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে তিনি ভারতের আজমির শরিফ হয়ে আবার ঢাকায় ফিরে সেখানেই অবস্থান করেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ঢাকায় অবস্থান করেছেন বলে জানান সাদিক আব্দুল্লাহ। এ কারণে তিনি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতেও বরিশালে আসেননি। গত সোমবার (১৯ জুন) ভার্চুয়াল এক মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য তিনি বরিশালে আসার কথা জানান।