যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে তাদের ফেরত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে মার্কিন একজন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, সামরিক পরিবহনে করে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানোর মধ্যে সবচেয়ে দূরত্ব গন্তব্য হলো ভারত।
এর আগে গুয়াতেমালা, পেরু, হন্ডুরাসের মতো দেশেও সারিক বিমানে করে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠানোর বেশ কিছু ছবি সম্প্রতি প্রকাশ করেছিল হোয়াইট হাউজ। তাতে দেখা গিয়েছিল, মানুষকে সারিবদ্ধ করে বিমানে তোলা হচ্ছে। তাদের সকলের কোমরে বাঁধা রয়েছে চেন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা নিচ্ছেন। যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন, সামরিক বাহিনীর বিমান ব্যবহার এবং সামরিক ঘাঁটিতে অভিবাসীদের রাখা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর সি-১৭ বিমানে করে অভিবাসীদের একটি ফ্লাইট ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যেটি পৌঁছাতে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে।
হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, এই প্রথম ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের এভাবে ‘ডিপোর্ট’ করল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকায় ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এর আগে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। এই নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘ভারত সঠিক কাজ করবে’।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনো ভারতীয় নাগরিক যদি অবৈধ ভাবে আমেরিকায় বসবাস করে থাকেন তাহলে তাদের ফেরত নিতে আপত্তি নেই।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব নিয়ে একের পর এক কঠোর নীতি কার্যকর করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ দপ্তরে প্রথমদিনেই একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। এর পরেই বহু ভারতীয় অভিবাসীর মাথায় গভীর চিন্তার রেখা দেখা দেয়।
তবে এভাবে সামরিক বিমানে করে ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি দিল্লি কোন চোখে দেখবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।