ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্যের সঙ্গে ভিপি নূরের বৈঠকের যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে।
সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমান এ দাবি করেন।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, দুবাইয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছে নতুন দল গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর। পত্রিকায়ও খবর প্রকাশ হয়েছে। সে ডাকসুর ভিপি ছিল। হাসিমুখে মোসাদের সদস্যের সঙ্গে ছবিও এসেছে। নূর বলেছিল এটি তার এডিট করা ছবি। পরে অভিজ্ঞ ফটোগ্রাফারদের দিয়ে সেটা দেখানো হয়, তখন দেখা যায় সেটি এডিট করা নয়, এটা অরিজিনাল ছবি। আবার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখছি- সে বলছে আমি কথা বলেছি, তাই কী হয়েছে। আমি কি কারো সঙ্গে কথা বলতে পারি না, আমি কারো সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে কেন। এটা পত্রিকায়ও হয় তো আসবে।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে আমাদের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। আমরা এ সংসদে ফিলিস্তিনি নর-নারী, শিশু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। সে কারো সঙ্গে বৈঠক করতেই পারে। সে সরকারকে পছন্দ না করতেই পারে। কিন্তু যে দেশের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, যে ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলিম নারী-শিশুকে হত্যা করছে, আমরা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাচ্ছি, সেই দেশের গোয়েন্দা সদস্যের সঙ্গে তা আইনসম্মত নয়।
‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব- এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে সংসদে ৩০০ বিধিতে আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছি।’
পরে এ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ বলেন, এখানে ভিপি নূরের কথা এসেছে। ভিপি নূর আমি মনে করি একটা সন্ত্রাসের নাম।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে সমাবেশ করে। আমরা অবাক হয়ে যাই। এখানে তালেবানি রাষ্ট্র বানানোর সুযোগ আমরা কাউকে দেব না। বিএনপি এখন তলানিতে চলে গেছে। তাই তারা মরার আগে বিএনপিকে তাজা করতে চায়। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমরা তো কারো কাছে পরাজয় মানতে পারি না। আমরা একসঙ্গে থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারবে না।