এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বেশ শান্ত ছেলে! এমন কথা শুনে যে কেউ দম ফাটানো হাসিতে ভেঙে পড়বেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যখন আসলেন তাকে তেমনই মনে হয়েছে। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফিরে গেলেন পুরনো স্মৃতিতে। ১৬ বছর বয়সে পরিবার-পরিজন ছেড়ে ফুটবল খেলার জন্য আর্জেন্টিনার বর্তমান গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঘর ছেড়েছিলেন। আজ বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও তিনি। আরও একজন এই বিশ্বকাপটির সবচেয়ে বড় দাবিদার। তিনি লিওনেল মেসি। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ জানালেন, ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পে থাকতে পারেন বটে। কিন্তু তাদেরও এ খেলাটির বড় তারকা লিওনেল মেসি রয়েছেন। এ বিশ্বকাপ তিনি যেমন জিততে চান, তেমন মেসি।
আর্জেন্টিনা যখন দোহায় আসে, তখন আত্মবিশ্বাস ছিল ভয়ঙ্কর। টানা ৩৬ ম্যাচ তারা হারেনি। কিন্তু সৌদি আরবের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে বসেন কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এর পর এমন পরিস্থিতি প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে যায়। পরে মেক্সিকো ও পোলান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য খেলে শেষ ষোলোতে ওঠে তারা। অস্ট্রেলিয়াকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে হারান মেসিরা। নেদারল্যান্ডসের ম্যাচটি কঠিন ছিল। টাইব্রেকে স্নায়ুক্ষয়ী লড়াই করতে হয়েছে। আর সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। সৌদির ম্যাচের পর পথ কঠিন ছিল জানিয়ে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপের পথ কঠিন ছিল। মেক্সিকো, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসের আগে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে কথা বলেনি। সৌদি আরবের ম্যাচের পর এটি কঠিন ছিল। আমরা এখন ফাইনালে। পথ সহজ ছিল না।
ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গিয়ে গলা কেঁপেছে এমিলিয়ানোর। তিনি বলেন, ‘আমি ফুটবলের জন্য ১৬ বছর বয়সে ঘর ছেড়েছি। আমি পরিবারকে সাহায্য করতে চেয়েছি। এখন দেশকে এই ফাইনালে উপহার দিতে চাই ভালো কিছু।
২০১৪ সালের ফাইনালে আর্জেন্টিনা হেরেছিল জার্মানির কাছে। এমিলিয়ানো সে কষ্ট দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আর্জেন্টিনার মানুষকে কাঁদতে দেখেছি। আবার সেটি দেখতে চাই না।’
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বেশ আশাবাদী মানুষ। তিনিও এমবাপ্পের ব্যাপারে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এমবাপ্পেকে নিয়ে ভাবছি না। ফ্রান্স বা দলগত লড়াই নিয়ে ভাবছি। আর সে তরুণ অনেক। অনেক উন্নতি করছে। আমি দলীয় লড়াই হিসেবে দেখছি। আমি আর্জেন্টিনার প্রধান কোচ হতে পেরে গর্বিত। তবে আনন্দের পাশাপাশি চাপ আছে। আর ফাইনাল সব সময় চাপের বটেই।’