জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিম উদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান চাকরীচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৬ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) চার্জ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চার্জ গঠন হওয়া অপর আসামিরা হলেন, আকরাম হোসেন, রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে মেজর জিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলার অপর ৫ আসামি মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক, মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, ও মো. আরাফাত রহমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
নিহত নাজিম উদ্দিনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের টুক ভরাউট গ্রামে। তিনি সিলেট শহরের দরগার গেট আম্মারখানা এলাকার মেসে থেকে পড়াশোনা করত। ২০১০ সালের দিকে সিলেটের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। নাজিম উদ্দীন ফেসবুকে ধর্মবিরোধী লেখালেখি করত। ২০১০ সালে ব্লগার নিলয় নীল হত্যার পর সিলেটের আম্মার এলাকায় চা খাওয়ার সময় নাজিম উদ্দীনকে আক্রমণের জন্য আসামিদের কয়েকজন অনুসরণ করে। পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হন নাজিম উদ্দীন। পূর্ব পরিকল্পনা মতে এই আসামিরা ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল রাত সোয়া ৮টার দিকে সূত্রাপুর থানাধীন একরামপুর মোড়ে নাজিম উদ্দিনকে খুন করেন। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট এ মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়।
নিহত নাজিমউদ্দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সিলেট জেলা শাখার তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন।