শীতকাল আসতে আর বেশিদিন দেরি নেই। আর এই শীত আসলেই মাথায় আসে নানা রকমের সবজির কথা। শীতের সবজি কম বেশি সবাই পছন্দ করে আর পুষ্টিকরও বটে। ঠিক তেমনি শীতকাল একদিকে যেমন ভালো, অন্যদিকে সমস্যারও। কারণ, এই সময়ে নানা রকম রোগজীবাণুর প্রকোপ বাড়ে।
রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মৌসুমি সবজির জুড়ি মেলা ভার। তাই অন্যান্য সবজির সঙ্গে খাবারের তালিকায় থাকা উচিত মুলাও। ফলেট, ফাইবার, রাইবোফ্ল্যাবেন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যালশিয়াম-সমৃদ্ধ মুলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তো বটেই। এ ছাড়াও মুলাতে আছে ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক একটি যৌগ, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
মুলা খাওয়ার পরপরই দুধ বা দুগ্ধজাত কোনো খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ, মুলা খেলে দেহের উত্তাপ বাড়ে। তার সঙ্গে দুধ গিয়ে পড়লে অ্যাসিড হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। অনেকেরই বুকে জ্বালা, মুখের মধ্যে টক ভাব অনুভূত হয়।
শসা
সালাতে শসার সঙ্গে অনেকেই মুলা খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে শরীরের কত ক্ষতি হয়, তার কোনো ধারণা নেই। শসায় থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি শোষণ করতে সাহায্য করে। এই দুই সবজি একসঙ্গে খেলে, শসায় থাকা অ্যাসকরবিক এ্যাসিড নষ্ট হয়। ফলে ত্বক ও চুল খারাপ হয়ে যেতে পারে।
কমলালেবু
কমলালেবুর সঙ্গে মুলা খেলে শরীরে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই নিষেধ।
উচ্ছে
স্বাস্থ্য সচেতন এমন অনেক মানুষই তেল ছাড়া খাবার খেয়ে থাকেন। প্রতিদিন খাবারের প্লেটে সবজি সেদ্ধ রাখা খুবই ভালো অভ্যাস। কিন্তু এমন কিছু সবজি আছে যা একসঙ্গে খেলে ভালো তো নয়ই, উল্টে ক্ষতি হয়। তার মধ্যে দুটি হল মুলা এবং উচ্ছে বা করলা।
চা
চায়ের সঙ্গে মশলা মাখা মুড়ি না হলে সন্ধ্যাটা যেন জমেই না। অনেকেই মুড়ি মাখতে গিয়ে পেঁয়াজ, শসা, টমেটোর সঙ্গে মুলা মিশিয়ে দেন। এমনিতেই শসা এবং মুলা একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। তার উপর যদি দুধ চা গিয়ে পড়ে তা হলে সব মিলে পেটের ১২টা বাজতে আর বাকি থাকবে না।