শুক্রবার, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
গৌরনদীতে সন্ত্রাস-মাদক বিরোধী র‌্যালি ও আলোচনা সভা সারাদেশে ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, মানববন্ধন হাসিনার দালালরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে : সারজিস শেখ হাসিনাকে পুনর্বহালের ষড়যন্ত্র বিএনপি মেনে নেবে না : জয়নুল আবদিন বিডিআর হত্যাকাণ্ডে কোনো দেশের সম্পৃক্ততা পেলে দায়ী করা হবে-তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎহীন সচিবালয়, বন্ধ দাপ্তরিক কার্যক্রম সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন ময়মনসিংহে ডাম্পট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ পেঁয়াজের দাম কমছেই, খুশি ভোক্তারা প্রতিদিনই বন্ধ হচ্ছে অসংখ্য মিল-কারখানা, বেকারের আর্তনাদ

মুখ না দেখানোয় ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখাল ভাইভা বোর্ড

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১১০ বার পঠিত

পর্দা করায় ভাইভা বোর্ডে মুখ না দেখানোর কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের এক ছাত্রীকে ভাইভাতে অনুপস্থিত দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। তবে শিক্ষকরা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীর মুখ দেখে পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়। ওই শিক্ষার্থী তাতে রাজি না হওয়ায় ভাইভাতে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সেমিস্টারের ভাইভা দিতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী। ভাইভা বোর্ডের প্রধান ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন শামীম। অন্যান্য সদস্য হলেনÑ অধ্যাপক ভীস্মদেব চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক সোহানা মেহবুব এবং সহযোগী অধ্যাপক তারিক মনজুর।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, আমি নিকাব (পর্দা) করে ভাইভা পরীক্ষা দিতে গেলে শিক্ষকরা আমাকে নিকাব খোলা সাপেক্ষে উপস্থিতি স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি বারবার তাদের অনুরোধ করি যে, নন মাহরাম কারও সামনে আমি নিকাব খুলি না। আমি একাধিক ম্যাডামের সামনে মুখ খুলে আমার পরিচয়ের সত্যতা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি। কিন্তু তারা তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন এবং আমাকে গত ফার্স্ট সেমিস্টারসহ দুই সেমিস্টারের ভাইভাতে অনুপস্থিত করে দেন। শুধু পর্দা করার কারণে ভাইভাতে উপস্থিত থেকেও আমি কোনো মার্ক পাচ্ছি না। আমি এর সুষ্ঠু সমাধান চাই। এ বিষয়ে ভাইভা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন শামীম বলেন, আমরা তাকে বলেছি- বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করতে হবে। আমি তাকে এভাবেও বলেছি যে, তুমি আমার মেয়ের মতো। আমরা তোমাদের পিতৃতুল্য শিক্ষক। সে তার পরও মুখ খোলেনি এবং চলে গিয়েছিল। সে অভিযোগ করেছে যে, একাধিক নারী শিক্ষকের সামনে সে তার পরিচয় দিতে রাজি আছে। কিন্তু আমরা চারজন শিক্ষকের কেউ-ই এ রকম কথা শুনিনি। এ জন্য আমরা বিব্রতবোধ করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যদি বিভাগ কোনো কিছু করে থাকে, তা হলে সেটি ওই বিভাগের বিষয়। তবে ওই শিক্ষার্থী যদি বাড়তি কোনো সুবিধা পেতে চায়, তা হলে তা আমাদের জানানো উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com