জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন হতো বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া একসূত্রে গাঁথা।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেজর জলিল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা: ইরান বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যা এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী জনগণ যখন সঠিক নেতৃত্ব ও নির্দেশনার অভাবে দিকভ্রান্ত ছিল, তখন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মুক্তিকামী কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতাকে সংগ্রামে সংগঠিত হওয়ায় উৎসাহিত করেছে। সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সাহসিকতার সাথে পথ দেখিয়েছে জিয়াউর রহমান। যারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করে তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শোভা পায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের গণতন্ত্রের কথা বলে মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে পাচার করছে।’
‘দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান দলীয় সেবাদাস নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না। একদলীয় নির্বাচন হওয়ায় জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছে, যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অশনি সংকেত,’ বলেন তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক খোন্দকার কে এম ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন, যুবমিশন সদস্য সচিব সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।
সভায় শহীদ জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।