সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্পর্কিত আমেরিকান প্রোগ্রাম প্রকল্পের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল এফ রুন্ডে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার ড্যানিয়েল এফ রুন্ডে কক্সবাজারের স্থানীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেন। সকালে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং শরণার্থীদের সাথে কথা বলেন।
বিকেলে তিনি কক্সবাজারের গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবিদের সাথে মতবিনিময় করেন। কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ড্যানিয়েল এফ রুন্ডে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের মর্যাদা, তাদের অধিকারের প্রতিষ্ঠা হোক- এটাই কামনা করে। কিন্তু মিয়ানমারে এখন গণতন্ত্র অনুপস্থিত।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সবসময় কাজ করে আসছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সবসময় রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
ড্যানিয়েল এফ রুন্ডে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান চায়-এ জন্য বিশ্বসম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় সাংবাদিকরা তার কাছে বার্মা এ্যাক্ট কবে এবং কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, নানা ধাপে বার্মা এ্যাক্ট বাস্তবায়ন হবে।
পরে তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন।
এর আগে কুতুপালংয়ের ইউপি সদস্য ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, তার এলাকার স্থানীয় ৪০০ পরিবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেড়ার ভেতর নানান ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন এবং দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তাগিদ দেন।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী তার দেয়া বক্তব্যে বলেন, প্রয়োজনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেইফ জোন স্থাপন করে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান।