শুক্রবার, ১০:০৪ অপরাহ্ন, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :

মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও পরমাণু সহায়তার বিনিময়ে ইসরাইলকে স্বীকৃতি সৌদি আরবের!

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৬২ বার পঠিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং পরমাণু সহায়তার বিনিময়ে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি আছে সৌদি আরব। এক প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব জানিয়েছে যে তারা ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়, বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচিতে সহায়তা করে এবং অস্ত্র বিক্রির ওপর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়।

গত বছর সিনিয়র সৌদি কর্মকর্তারা ওয়াশিংটনের কাছে এসব শর্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। গত অক্টোবরে ইসরাইলপন্থী থিঙ্ক ট্যাংক ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউট ফর নেয়ার ইস্ট পলিসির কয়েকজন সদস্য রিয়াদ সফর করেন। তখনই সৌদি কর্মকর্তারা তাদের কাছে এসব শর্ত প্রকাশ করেন।

ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এবং সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্য রবার্ট স্যাটলফ এক প্রতিবেদনে লিখেছেন যে ওই সময় সৌদি নেতারা বলেন, ‘তারা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছেন যে সৌদি নিরাপত্তা উদ্বেগের ব্যাপারে যুক্ত উদাসীন।’

বিষয়টির সাথে পরিচিত পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে যে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাবিষয়ক সমন্বয়কারী ব্রেট ম্যাকগার্ক এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশ্ব জ্বালানিবিষয়ক শীর্ষ সহযোগী অ্যামোস হচস্টেইন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান শুরুতে আলোচনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেন। তবে পরে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্সেস রিমা বিনত বন্দর আল সৌদ ওই ভূমিকায় অংশ নেন।

এই ইস্যুতে সৌদি আরব বা যুক্তরাষ্ট্র- কেউ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিশ্লেষকেরা বলেছেন, বাইডেন ও তার প্রশাসন যদি এসব শর্ত মেনে নিতে চায়, তবে তারা মার্কিন কংগ্রেস, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে মারাত্মক বাধার মুখে পড়বে।

সিনেটর ক্রিস্টোফার এস মারফির (ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং ফরেন রিলেশন্স কমিটির সদস্য) উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘সৌদি আরবের সাথে আমাদের সম্পর্ক সরাসরি দ্বিপক্ষীয়। এটি ইসরাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়।’

ইরানের সাথে সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সম্মতি প্রকাশের প্রেক্ষাপটে ইসরাইল-সৌদি আরব-যুক্তরাষ্ট্রের এই সমীকরণের তথ্য প্রকাশ করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com