সোমবার, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে গৌরনদীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জহির উদ্দিন স্বপনের পক্ষ থেকে কম্বল বন্টন আবারও রাজনীতির লাইমলাইটে খালেদা জিয়া জাতীয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পুতুলকে সরাতে দুদকের চিঠি পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু ১৫ বছর পর প্রথমবার জামিন পেলেন ২৫০ সাবেক বিডিআর সদস্য এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ অবশেষে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর এসকে সুরের বাসায় দুদকের অভিযান, ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে স্বস্তির প্রহর গুনছেন ফিলিস্তিনিরা

মারাত্মক চাপে ইসরাইল, অনড় হামাস

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৩৫ বার পঠিত

যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে গাজায় আটক বন্দীদের মুক্তির জন্য দেশে ও বিদেশে মারাত্মক চাপে পড়েছে ইসরাইল। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সরবরাহ বাড়ানো না হলে যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। এদিকে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি আরো এক দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

ইসরাইল ৪০ বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু হামাস তাতে রাজি হয়নি বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে।

ইসরাইলি প্রস্তাব নিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার জন্য হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া বর্তমানে মিসরে রয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন, আর দরকার আরো মানবিক সহায়তা।

এই প্রথমবারের মতো গাজার আরেকটি সংগঠন ইসলামিক জিহাদকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে। তারাও জানিয়ে দিয়েছে, গাজায় আটক প্রায় ১০০ জনের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক সকল ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি দাবি করেছে। তারাও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছে।

আলোচনার সাথে জড়িত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, হামাস মানবিক বিরতি চাচ্ছে না। তারা গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধের পূর্ণ অবসান চায়।
হামাস মনে করে, বন্দীদের মুক্তি দেয়া হলে ইসরাইল আরো নৃশংসভাবে হামলা চালাতে থাকবে। কাজেই বন্দীদের বিনিময়েই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দরকার।

এদিকে যুদ্ধবিরতির জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের ওপর দেশে ও বিদেশে চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
এমনকি আমেরিকাও এখন ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বেসামরিক মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য তারা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে বন্দী পরিবার ও স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার জন্য ইসরাইল সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হাতে তিন বন্দী নিহত হওয়ার পর সরকারের ওপর চাপ প্রবল হয়েছে। তারা বলছে, বন্দীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভব সবকিছু করতে হবে।

ইসরাইল এখন ৪০ বন্দীর বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছে। এরা মূলত নারী, শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তি।

মিসর ছাড়াও ইউরোপেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সমঝোতায় পৌঁছা বেশ কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধ করতে এবং কারাগারে আটক সকল বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল।

সূত্র : আল জাজিরা, জেরুসালেম পোস্ট এবং অন্যান্য

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com