মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাদি মজিবুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এ মামলায় জামিনে থাকা দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু এবং কবির হোসেন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি হাজিরা দেন। এরপর পরীমণির আইনজীবী বাদিকে জেরা করেন। জেরা সম্পন্ন হলে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিং রুম, বেড রুমের সাইড টেবিল এবং টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৫ আগস্ট র্যাব রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত পরীমণিসহ তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমণির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমণির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
পরীমণি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমণি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার করতেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র : বাসস