৩৩ হাজার ইয়াবা বড়িসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএনসি বলছে, গ্রেফতার যুবকের নাম এরশাদুল হক (৩২)। তিনি সাবেক ক্রিকেটার। এই যুবক বর্তমানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি মাছের ঘেরের ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবার কারবার করে আসছিলেন।
এরশাদুলকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ডিএনসির উত্তর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, এরশাদুল নিজেকে কক্সবাজার জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক দাবি করেছেন।
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড়।
ডিএনসির উত্তর অঞ্চলের উপপরিচালক রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রায় এক মাস আগে এরশাদুলের ইয়াবা সিন্ডিকেট সম্পর্কে তারা গোপনে তথ্য পান। তাকে ধরার জন্য তারা কৌশল নেন। সোমবার ডিএনসির রমনা সার্কেলের পরিদর্শক তমিজ উদ্দিন মৃধা ক্রেতা সেজে ইয়াবাবড়ি কিনতে যান। এ সময় চক্রের সহযোগী হুমায়নকে তার স্ত্রীসহ ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুলের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান বের করে এরশাদুলকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএনসি বলছে, এরশাদুল মাছ চাষের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন। উখিয়ায় তার মাছের ঘের রয়েছে। মাছ পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ট্রাকে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা লুকিয়ে তা ঢাকায় পাঠাতেন তিনি। এই কাজে তার একাধিক সহযোগী রয়েছেন। তিনি চক্রের প্রধান।
ডিএনসির কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, এরশাদুল ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে আকাশপথে যাতায়াত করতেন। যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করতেন। তার মুঠোফোন বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। ডিএনসি বলছে, এরশাদুল মিয়ানমার থেকে সরাসরি ইয়াবা সংগ্রহ করতেন। ইয়াবা সংগ্রহের জন্য তিনি মিয়ানমারে থাকা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। নৌপথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা সংগ্রহের জন্য তিনি রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতেন।