ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ পণ্ড করার উদ্দেশে বিএনপি’র পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এ ধরনের একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা দেখবে এটা কেউ আশা করেনি।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যে নগ্ন সন্ত্রাস হামলা দেখলাম, যা ঘটিয়েছে আমার মনে হয় বাংলাদেশে নজিরবিহীন। পৃথিবীতে এ ধরনের নজির নেই। মুক্তিযুদ্ধের অনেক বড় বড় কথা শুনেছি। পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধে হয়নি। এটা নিন্দা করার ভাষা আমাদের নেই।
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুল হোসেনের শিশু কন্যার পড়ালেখার দায়িত্ব নেন উত্তর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম মজনু। এ সময় নিহতের পরিবারের হাতে কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন বিএনপি নেতারা।
লুটপাট ও হামলার ঘটনায় আপনারা কোনো মামলা করবেন কিনা- এমন প্রশ্নে ড. মোশাররফ বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীকে জানাবো আর পরে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে এখনো আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। সিদ্ধান্ত নিলে আপনাদেরকে জানাবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি’র দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।