ভোলার মনপুরায় ৭ মাঝির মুক্তিপণের দেড় লক্ষ টাকা এক বছর পর হাতিয়ার জলদস্যু মহিউদ্দিন বাহিনীর বিকাশ ও নগদ একাউন্ট থেকে উদ্ধার করলেন ওসি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া ৬ জনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের হস্তান্তর করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন মনপুরার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ। এই সময় উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন মালিকদের হস্তান্তর করেন তিনি।
ওসি জানান, এক বছর পূর্বে মেঘনায় মাছ শিকার সময় হাতিয়ার দস্যু মহিউদ্দিন বাহিনী ৭ জেলে ট্রলারে হামলা চালিয়ে এক ট্রলারসহ প্রত্যেক জেলে ট্রলার থেকে একজন করে ৭ মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার গহীন বনে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত জেলেদের স্বজনরা জলদস্যুদের বিকাশ ও নগদ একাউন্টে দেড় লক্ষ টাকা দিলে মুক্তি পায় অপহৃত জেলেরা। পরে পুলিশ জেলেদের স্বজনদের কাছ থেকে জলদস্যুদের বিকাশ ও নগদ একাউন্ট নাম্বার নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একাউন্ট ফ্রিজ করে। পরে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই মুক্তিপণের টাকা জলদস্যুদের বিকাশ ও নগদ একাউন্ট থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারী মনপুরার চরপিয়াল সংলগ্ন মেঘনায় মাছ শিকারের সময় ৭ জেলে ট্রলারে হামলা চালিয়ে এক ট্রলারসহ ৭ ট্রলার থেকে একজন করে সাত মাঝিকে অপহরণ করে। তখন দস্যুরা সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দাবী করে। পরে অপহৃত ৭ জেলের স্বজনরা বিকাশ ও নগদ একাউন্টে দেড় লক্ষ টাকা দিলে মুক্তি দেয় দস্যু বাহিনী। সেই সময়ে মুক্তিপণে উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, বাবুল মাঝি, ইসমাইল মাঝি, সোহেল সুকানি, জাহাঙ্গীর মাঝি, সোহেল মুন্সি, রিয়াজ মাঝি ও বাছেত মাঝি। এদরে সবার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, দস্যুদের বিকাশ ও নগদ একাউন্ট থেকে উদ্ধার হওয়া মুক্তিপণের দেড় লক্ষ টাকা আদালতের মাধ্যমে জেলেদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া ৬ জনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের হস্তান্ত করা হয়েছে।