ভোলায় বিএনপির সমাবেশে গুলির নির্দেশদাতা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে দাবি করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রমোশন ও পুরস্কারের লিপ্সায় এসপি সাইফুল বিএনপির মিছিলে নারকীয় তাণ্ডবের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার (৫আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে গত এক যুগ ধরে র্যাব, পুলিশসহ আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল প্রশাসন, আইন আদালত সবকিছু সম্পূর্ণ ছাত্রলীগের প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়েছেন। তারাই শেখ হাসিনার শিখণ্ডী।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিরোধীদল দমন করতে ছাত্রলীগ নেতাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে।
এসপি সাইফুলের নির্দেশ সম্পর্কে রিজভী বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ কার্যকর করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) আকরাম হোসেন। ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেনকে সরাসরি গুলি করতে দেখা গেছে। তার বাড়ী ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরের কালঘড়ায়। তার বাবা আব্দুল মতিন কিসলু ছিলেন আওয়ামী লীগার।
আওয়ামী লীগের কিলার ইন্সপেক্টর আকরাম হোসেন ও ওসি এনায়েত হোসেন জনগণের নিরাপত্তা দানের বদলে দলের কেন্দ্রীয় ও নেতাদের আদেশ নির্দেশ প্রতিপালনে ব্যস্ত থাকেন।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, গত ৩১ জুলাই জেলায় জেলায় বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ভোলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আওয়ামী পুলিশ বেপরোয়াভাবে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমকে। হত্যা করেছে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে। আরও ১৯ জন ঢাকায় ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এই হত্যাকাণ্ড পূর্ব পরিকল্পিত। সরকার তার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়ে আবারও প্রমাণ করলো- বল প্রয়োগ করে জবরদস্তি করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।
আমরা আব্দুর রহিম ও নুরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। জনগণের অভ্যুত্থানে এই সরকারের পতন ঘটবে। তারপর জনগণের সরকার কড়ায় গণ্ডায় বিচার করবে। সকল হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হবে।