ভোলার বোরহানউদ্দিনে চলতি বছর ৩৫ হাজার মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭০ কোটি টাকা। এ বছর অনুকূল পরিবেশ, রোগব্যাধি ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এসব তরমুজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর উপজেলার ১৭০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে ৪ গুণেরও বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতিহেক্টরে গড়ে ৫০-৬০ মেট্রিক টন ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে মোট উৎপাদন হবে প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। কেজিতে পরিমাপ করলে প্রায় ৪ কোটি কেজি। প্রতি কেজি ২০ টাকা বিক্রি হলে চাষিরা ৭০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
উপজেলার দরুন এলাকার তরুণ উদ্যোক্তা ও চাষি শিহাব মৃধা বলেন, এ বছর ২০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলন ভালো হয়েছে। প্রথম ধাপে ৩ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। দ্বিতীয় ধাপে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি তাজুল শাহাবুদ্দিন বলেন, এবার তিনি ৪৫০ একর জমিতে ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষা করেছেন। উৎপাদনও ভালো হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার তরমুজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর ৯০ লাখ টাকা লাভ করছেন। এ বছর দেড় কোটি টাকা লাভের আশা করছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাছির খান বলেন, লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষক তরমুজ চাষের প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে। এদের মধ্যে ড্রাগন ও ড্রাগন সুপার জাত বেশি। অধিক ফলনের আশা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচএম শামীম বলেন, অনুকূল পরিবেশ ও বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও রয়েছে সন্তোষজনক। চাষিরা এবার কাঙ্ক্ষিত লাভ করতে পারবে।