শুক্রবার, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

ভোলায় শুঁটকি উৎপাদনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ধরা পড়া ছোট মাছ শুঁটকি তৈরির মাধ্যমে জেলেদের নতুন আয়ের পথ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও। কিন্তু আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অভাবে এখানকার চরাঞ্চলে তৈরি শুঁটকির অধিকাংশই মৎস্য ও পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

ভোলার সাগরতীরের ঢালচর ইউনিয়নের মাঝের চরে মৌসুমি শুঁটকি পল্লি গড়ে উঠেছে। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনার নদী থেকে ধরা চেউয়া, লইট্টা, অলুফা, কাচকিসহ নানা জাতের ছোট মাছ ট্রলার ভরে এই পল্লিতে আনা হয়।

এখানে প্রতি ঝুড়ি মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়। জেলেরা জানান, প্রতিদিন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ মণ মাছ বিক্রি হয়। ঝুড়ি হিসেবে কিনে এসব মাছ খোলা মাঠে শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হয়। এক ঝুড়ি মাছ শুকালে ২৫ থেকে ৩০ কেজি শুঁটকি পাওয়া যায়। আর শুটকির মণ বিক্রি হয় দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায়।

পরে এসব শুঁটকি মৎস্য ও পশুখাদ্যের জন্য চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলেরা জানান, এ কাজ করে তাদের সংসার চলছে। এক লাখ টাকার মাছ কিনলে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়।

বাণিজ্যিক সম্ভাবনা থাকলেও উপকূলের শুঁটকি পল্লিগুলোকে উৎপাদনে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনতে পারেনি মৎস্য বিভাগ। এ বিষয়ে ভোলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, ‘আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা নেব, যাতে তারা মানসম্মত শুঁটকি উৎপাদন করতে পারে।’

জেলায় বেপারীদের তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাসে শুধু চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন চরে প্রায় চার হাজার মণ শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com