অমাবস্যার প্রভাব আর উজানের ঢলে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ভোলার মেঘনা নদীর পানি। এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানিও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরো কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থা।
শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে মেঘনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া পিরোজপুর জেলায় বলেশ্বর নদী বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বিভাগের নদী তীরবর্তী লোকালয়, ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে গেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশালের কীর্তনখোলা, ঝালকাঠির বিষখালী, ভোলার তেঁতুলিয়া, পিরোজপুরের উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদী বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অবস্থায় রয়েছে।
বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১১টি নদীর পানি প্রবাহ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পায়। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর বিপৎসীমা অতিক্রম করে বেশিদিন পানি থাকলে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে বিভিন্ন এলাকায়।