তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পের ২২ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এখনো ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর একটি ভবন ধসে ওই নারী আটকা পড়েছিল। ওই নারীকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল সোমবার ভোরে মানুষ ঘুমিয়ে ছিলেন, ঠিক তখনই তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে দুপুরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর। প্রায় সাড়ে হাজারের মতো ভবন ধসে পড়েছে। এই ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় চার হাজার ৩৭২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে তুরস্কে ২ হাজার ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় মারা গেছে ১ হাজার ৪৫১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ মঙ্গলবার তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
বিবিসি, সিএনএনসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনে অনেকে আটকা পড়েছেন। সেখান থেকে তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কে সাত দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..