এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরের সুপার ফোরের লড়াইয়ে আজ ভারতের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরের লড়াইয়ে পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়ে ফাইনালের পথ বেশ কঠিন হয়ে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতের। হাতে থাকা দুই ম্যাচেই জয় পেতে হবে রোহিত শর্মাদের।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত। এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ভারতের। হারলেই বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। অন্যদিকে জিতলেই শ্রীলঙ্কার ফাইনাল নিশ্চিত।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কা যেই পরিস্থিতিতে ছিল, এখন দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কেননা শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শোচনীয় পরাজয়ের পরে, বাংলাদেশের বিপক্ষে এবং এরপর সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় জয় পেয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলটি একটা ভালো ছন্দে আছে।
ভারতের ওপর সব চাপ
পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে ভারতের দলটিকে মনে হয়েছে স্নায়ুচাপে ভেঙ্গে পড়েছে। রোহিত শর্মার উদ্বিগ্ন চেহারা, আর্শদিপ সিংয়ের ক্যাচ মিস, জাদেজার মতো সিনিয়র ক্রিকেটার দলে না থাকা সব মিলিয়ে একটা নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়েছে রাহুল দ্রাবিড়ের অধীনস্থ ভারত দল।
আজ যদি ভারত হেরে যায়, সেক্ষেত্রে তাদের হাতে আর কিছুই থাকবে না। অন্যদের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
ভারতের তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি, ম্যাচের আগে চাপের কথাই বারবার বলেছেন।
তিনি বলেন, “বড় ম্যাচে চাপ থাকে। আমরা আগের ভুলগুলো থেকে শিখছি। রোহিত শর্মা ও দলের অন্য সদস্যরা মিলে এখন আমরা এমন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছি যেখানে আমরা সুযোগ পেলেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দাপট দেখাবো।”
শ্রীলঙ্কা আত্মবিশ্বাসী ও একাট্টা
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলছেন, “এশিয়ার ক্রিকেটের কথা বললে সবাই পাকিস্তান ও ভারতের কথা বলে। আমরা এতে কিছু মনে করি না। আমরা বরং নিজেদের খেলা নিয়েই ভাবি।”
আন্ডারডগ শ্রীলঙ্কা-এটাই দলটাকে আরও উদ্বুদ্ধ ও শক্তিশালী করে তুলেছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ভরাডুবিই শ্রীলঙ্কা দলটিকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে – শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ভানুকা রাজাপাকশা আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পরে এমনটা বলেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটির পর শ্রীলঙ্কার স্পিনার মাহেশ ঠিকসানা টুইট করে বলেছিলেন, “আমাদের বিশ্বমানের ক্রিকেটার প্রয়োজন নেই। আমরা ১১ ভাই আছি।”
এসব কথা ইঙ্গিত দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা দলটি নিজেদের সামর্থ্য নিয়ে অবগত এবং সেই সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা ডিঙানোর চেষ্টা করছে দলটি।
এই টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক কিংবা সেরা উইকেট শিকারীদের তালিকায় শীর্ষ তিনে শ্রীলঙ্কান কোনও ক্রিকেটার নেই। এটা প্রমাণ করে দলটা শেষ দুই ম্যাচে জিতেছে দলগতভাবে ভালো খেলে যেটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জরুরি হয়ে পড়ে অনেক সময়।
ভারতের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করতে পারে দলটি
ভারতের ক্রিকেট দলটি ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু এনেও পরে পুরোপুরি হাত খুলে খেলতে পারছে না। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের স্পিনারদের বলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ব্যাট করতে পারেনি ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা।
ভারতের ব্যাটসম্যানরা পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঝের আট ওভারে ৫৬ রান নিতে পেরেছে।
শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা খুব আহামরি বল করেননি, কিন্তু তারা প্রতিপক্ষকে পাওয়ারপ্লে থেকেই খোলস থেকে বের হতে দেননি। চলমান এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন আটের কম।
ভারত আজ একাদশ নির্বাচন নিয়েও ভাববে। আভেশ খান ফিরছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে জায়গা করে দিতে পারেন রাভি বিষ্ণই। আবার ঋশাভ পান্তও একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন। দিনেশ কার্তিক ফিরতে পারেন দলে।