ভারতের পাঞ্জাবে ফসলের ন্যূনতম মূল্যসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। আজ সোমবার সকাল থেকে পাঞ্জাবের ২০০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরুদ্ধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। বাতিল করা হয়েছে ২২১টি ট্রেন। কৃষকদের কর্মসূচির কারণে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে কারণে মোহালিতে ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চার ডাকে পথে নেমেছেন কৃষকরা। ওই দুই সংগঠন আগেই জানিয়েছিল, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তারা বন্ধ পালন করবে। চিকিৎসাসহ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন কৃষকরা। জলন্ধর-দিল্লি জাতীয় সড়ক, অমৃতসর-দিল্লি হাইওয়ের উপর বসে পড়েছেন তারা। ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। মোহালিতে বিমানবন্দর যাওয়ার পথও অবরোধ করেছেন কৃষকেরা।
কৃষকদের কর্মসূচির কারণে যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না-হয় সে দিকে নজর রেখেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোহালিতে ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কৃষক নেতা সরওয়ান সিংহ পন্ধের বলেন, ‘বন্ধের সময় শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় থাকবে। কেউ যদি বিমানবন্দর যান, কিংবা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে বা বিশেষ প্রয়োজন থাকে, তাদের আটকানো হবে না।’
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি), কৃষি ঋণ মওকুফ, পেনশনের ব্যবস্থা এবং বিদ্যুতের বিল না বাড়ানোর মতো বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের আন্দোলন চলছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লি সংলগ্ন পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার শম্ভু এবং খানাউড়ি সীমানায় অবস্থানে বসে রয়েছেন কৃষকেরা। ২৬ নভেম্বর কৃষক নেতা জগজিৎ সিংহ ডাল্লেওয়াল আমরণ অনশন শুরু করার পর আন্দোলন নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। এর আগে ‘রেল রোকো’ কর্মসূচিও নিয়েছিলেন কৃষকেরা।
পন্ধের জানিয়েছেন, ডাল্লেওয়ালের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক। কিন্তু কেন্দ্র সহযোগিতা করছে না। তাই কেন্দ্রের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই বন্ধের কর্মসূচি নিয়েছেন তারা।