বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা বরগুনায় প্রেমের টানা আসা দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর নাগরিক প্রেমকান্তের বিরুদ্ধে এবার তালতলী থানায় প্রেমিকার বাবা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ (৬ আগস্ট) সকালে দৈনিক নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ সাখওয়াত হোসেন তপু।
তিনি জানান, কথিত প্রেমিকার বাবা কৃষ্ণ মেনন মন্ডল অভিযুক্ত ভারতীয় যুবক প্রেমিকান্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি আরো জানান, গত ২৪ জুলাই প্রেমকান্ত তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে বরিশাল নগরীতে আসেন। পুরো এক সপ্তাহ চষে বেড়ান বরিশাল নগরীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি বরিশাল থেকে সড়ক পথে বরগুনা আসেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি তালতলী উপজেলায় প্রেমিকাকে খুঁজতে আসেন। কিন্তু তার দেখা পাননি। পরে বিকেলে আবার বরগুনা ফেরেন প্রেমাকান্ত।
ভারতীয় যুবকের দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলাপের মাধ্যমেই বরগুনার এক
তরুণীর সাথে প্রেম হয় তার। ফেসবুকের মাধ্যমে টানা তিন বছর ধরে তাদের প্রেমের
সম্পর্ক রয়েছে। প্রেমকান্তের দাবি, একনজর দেখার জন্য তামিলনাড়ু থেকে প্রথমে বরিশাল শহরে ও পরে বরগুনায় আসেন। বরিশালে আসার পর দেখাও মেলে ওই তরুণীর সাথে। দেখা হওয়ার এক দিন পর প্রেমকান্ত জানতে পারেন, তার অজান্তেই তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চয়ন হালদারের সাথে তার প্রেমিকার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর ওই তরুণী তার সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
অভিযোগ রয়েছে, চয়নের হাতে মারধরেরও শিকারও হয়েছেন প্রেমাকান্ত। তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের হেফাজতেও থাকতে হয়েছে তার।
তরুণীর মা জানান, আমার পরিবার শুক্রবার সন্ধ্যার পরে তালতলী থানায় ভারতীয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
তরুণীর বাবা জানান, আমার মেয়ের সাথে ছেলেটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু তাকে কিছু না বলেই সে বরিশালে চলে আসে। তার অনুরোধের পর আমার মেয়ে দেখাও করে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে যেভাবে আমাদের পেছনে লেগেছে তা আমাদের হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ছেলেটিও আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছে। সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করায় প্রচলিত আইনে আমরা তার বিচার দাবি করব।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, ভারতীয় এই প্রেমিকান্ত যুবকের বিরুদ্ধে তরুণীর পরিবার থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ভারতীয় এই যুবকের
বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।