ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বর্ষা (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলা রেল গেইটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বর্ষা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের মমিন মিয়ার স্ত্রী।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন বর্ষা। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে খণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় লাশের পাশে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। ওই মোবাইল ফোনের লক খোলার পর রাত ১১টার দিকে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।
পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালাউদ্দিন খান নোমান জানান, দুই মাস আগে মমিন ও বর্ষার বিয়ে হয়েছিল। শনিবার বিকেলে তিনি বিষণ্ণ অবস্থায় পৈরতলা এলাকায় রেললাইনের পাশে বসেছিলেন। পরে তিনি ঢাকা থেকে আসা চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্ষা আত্মহত্যা করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।