আওয়ামী লীগের নানা ‘কৌশলে’র কারণে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের (সরাইল ও আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন নিজ ভোটকেন্দ্র আশুগঞ্জ সরকারি শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রে আসলেও ভোট না দিয়ে চলে যান।
এ সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেহেরীন বলেন, ‘আমার স্বামী শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। আমি নিজেও একপ্রকার নজরবন্ধি। তবুও আমাদের কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্ট দিয়েছিল। কিন্তু বৈরি পরিবেশের জন্য এদেরকে ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে। এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এসে দেখলাম কেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম চলছে। ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার পর কলার ছড়ি প্রতীকের এজেন্টরা প্রতীকের বাটন চেপে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্ক করলেও প্রতিকার নেই। এছাড়া সকাল থেকে আমি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমাদের কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে নানা ধরনের অভিযোগ শুনে আসছি। এ অবস্থায় আমি ভোট দেইনি। এই অনিয়মের নির্বাচন স্থগিত করার দাবি করছি।
এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তার নিখোঁজ স্বামী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের দ্রুত সন্ধান দাবি করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ মোবাইল ফোন বাসায় রেখে বেরিয়ে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান (৮০ বছর বয়সী এলাকার স্বনামধন্য সালিশকারক) মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে গ্রাম্য ঝগড়ার মীমাংসিত ঘটনার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উক্ত দরখাস্তের অনুলিপি প্রদান করেন।