দক্ষিণ আমেরিকার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রাজিলকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়নশিপটির ইতিহাসে এর আগে কখনোই এত বড় ব্যবধানে হারেনি ব্রাজিল। আর প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বশেষ কোনো দল ৬-০ গোলে হেরেছিল ২০১৩ সালে। বলিভিয়ার জালে ৬ গোল করেছিল কলম্বিয়া।
অন্যদিকে জাতীয় দলের যে কোনো স্তর (অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে সিনিয়র দল) বিবেচনায় ব্রাজিলের বিপক্ষে এটাই আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
রোকা কাপে এর আগে ১৯৪০ সালে ব্রাজিলকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় দল। অধুনালুপ্ত সেই প্রীতি টুর্নামেন্টে পাওয়া ওই জয়টাই এত দিন ব্রাজিলের বিপক্ষে জাতীয় দলের যে কোনো স্তরে সবচেয়ে বড় ছিল আর্জেন্টিনার। ৮৫ বছর পর রেকর্ড নতুন করে লিখলেন ক্লদিও এচেভেরিরা।
স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় মিসায়েল দেলগাদো স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের কোচ হিসেবে এটাই ছিল ডিয়েগো প্লাসেন্তের প্রথম ম্যাচ। এবারের দক্ষিণ আমেরিকা অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপেও এটি ছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচ।
প্লাসেন্তে ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা দলের প্রধান খেলোয়াড়দের রেখে একাদশ সাজিয়েছিলেন। যেখানে ১১ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৬ মিনিটে রিভার প্লেটের প্রতিভা ইয়ার সুবিয়াব্রের করা গোলের উৎস ছিলেন ভ্যালেন্তিনো আকুনা। লিওনেল মেসিকে নিয়ে স্প্যানিশ পরিচালক অ্যালেক্স দে লা ইগলেসিয়ার বানানো তথ্যচিত্রে এই আকুনা মেসির চরিত্রে ছিলেন।
ম্যানচেস্টার সিটির (এখন ধারে রিভার প্লেটে) ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড এচেভেরি ৮ম মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন। তার গোলেরও উৎস ছিলেন আকুনা। তিন মিনিট পর আত্মঘাতী গোল করে বসেন ব্রাজিলের রাইট ব্যাক ইগর সেরাতো। বিরতির পর ৫২, ৫৪ ও ৭৮ মিনিটে আরও তিন গোল করে আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা প্রথমার্ধের পুনরাবৃত্তির মতোই খেলা শুরুর ৭ ও ৯ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে গোল এনে দেন অগাস্তিন রুবের্তো ও এচেভেরি। শেষ গোলটি সান্তিয়াগো হিদালগোর।
আগামী সেপ্টেম্বরে চিলিতে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ। দক্ষিণ আমেরিকার এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা করে নেবে সেই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে। মোট ১০টি দল ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপে ভাগ হয়ে দক্ষিণ আমেরিকার চ্যাম্পিয়নশিপে লড়ছে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ তিন দলকে নিয়ে মোট ছয় দলের রাউন্ড রবিন খেলা হবে। সেখান থেকে শীর্ষ চার দল জায়গা পাবে চিলি বিশ্বকাপে।