ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছিলো টাইগাররা।
সিরিজে টিকে থাকার মিশনে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। প্রথম ম্যাচেও টস জিতে ব্যাট হাতে নেমেছিলো বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের মত আজও ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও সাইফ হাসান।
২ ওভারের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন নাইম-সাইফ। নাইম ৮ বলে ২ ও সাইফ ১ বল খেলে শুন্য রান ফিরেন। পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে লেগ বিফোর হন সাইফ। নাইমকে শিকার করেন পাকিস্তানের আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। প্রথম ম্যাচে ১ রান করে করেছিলেন তারা।
৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। দ্রুত রান তুলেছেন দু’জনে। পাওয়া-প্লের সুবিধা কাজে লাগানোর লক্ষ্য ছিলো শান্ত ও আফিফের। পুরোপুরি সফল না হলেও, পাওয়ার প্লেতে ৩৬ রান পায় বাংলাদেশ।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছায়। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে শান্ত-আফিফের জুটি ভাঙ্গেন পাকিস্তানের স্পিনার শাদাব খান। ১টি করে চার-ছক্কায় ২১ বলে ২০ রান করেন আফিফ। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৪৬ রান তুলেন শান্ত ও আফিফ।
আফিফের বিদায়ের পর অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাথে আরও একটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। ভালো শুরুর পরও বড় জুটি গড়তে পারেননি তারা। ১৩তম ওভারে মাহমুদুল্লাহর বিদায় ঘটে। পেসার হারিস রউফের বলে আউট হবার আগে ১টি চারে ১৫ বলে ১২ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। শান্ত-মাহমুদুল্লাহ ২৭ বলে ২৮ রান যোগ করেন।
পরের ওভারে থামেন শান্তও। দারুন খেলতে থাকা শান্তকে শিকার করেন শাদাব। নিজের বলে নিজেই দারুন এক ক্যাচ নেন শাদাব। ৫টি চারে ৩৪ বলে ৪০ রান করেন শান্ত।
শান্তর ফিরে যাওয়ায় উইকেটে আসেন মাহেদি হাসান। আগের ম্যাচে ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে, বাংলাদেশকে লড়াই করার পুঁিজ এনে দিয়েছিলেন মাহেদি। কিন্তু আজ ৮ বলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এতে ১৬তম ওভারে ৮৮ রানে ৬ উইকেট পতনে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।
ক্রিজে বাংলাদেশের পক্ষে স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে ছিলেন নুরুল হাসান। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮ ও তাসকিন আহমেদ ২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
পাকিস্তানের আফ্রিদি ১৫ রানে ও শাদাব ২২ রানে ২টি করে উইকেট নেন।