সকালের শিশির ভেজা সকালে জানান দিচ্ছে দেশজুড়ে শীতের আগমনী বার্তা। চাহিদা বাড়ছে লেপ-তোষকেরও। ফলে সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এসবের কারিগররা।
কাক ডাকা ভোরের আকাশে ডানা মিলছে ঘন কুয়াশার চাদর। পাশাপাশি অনুভূত হচ্ছে শিশির ভেজা দুর্বা ঘাসের শীতল স্পর্শ। তাই চাহিদা অনুযায়ী উপজেলার সকল শ্রেণির মানুষ যার যার মতো করে লেপ কম্বল ক্রয় করছেন।
বিত্তবানদের পাশাপাশি এলাকার বস্তিবাসী বা ছিন্নমূলের বাসিন্দারা পুরনো ছেড়া কাঁথা রোদে শুকাচ্ছেন। তাই এলাকার চাহিদা মেটাতে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার পুরানবাজারে গিয়ে দেখা যায়, কারিগরদের চলছে কাজের ধুম। দম ফেলার ফুসরত নেই। লেপ-তোষক তৈরিতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
শায়েস্তাগঞ্জ পুরানবাজারের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন বলেন, শীতের শুরুতেই কারগরদের ব্যস্ত সময় কাটছে। মওসুমের শুরু হওয়ায় কাজের চাপ আর চাহিদাও অনেক।
ব্যবসায়ীদের তথ্যে জানা গেছে, এ বছর শিমুল তুলার কেজি ৬০০ টাকা, লেপের তুলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লেপের কাপড় প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, একটি তৈরি তোষক এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, জাজিমের মূল্য ৩ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাউদনগর বাজার এলাকার বেডিংয়ের মালিক আব্দুর রশিদ জানান, শিমুল তুলার কেজি ৬৫০ টাকা, লেপের তুলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, লাল শালু ৩৫ থেকে ৬০ টাকা মিটারে বিক্রি হচ্ছে।
লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা জানান, এলাকার সচ্ছল ব্যক্তিরা প্রায় প্রতি বছরই নতুন লেপ কিনে থাকেন। শীতের আগেই নতুন লেপ ও তোষকের অর্ডার দেন তারা। এবারো মওসুমের শুরু আর শীত অনুভূত হওয়ায় নতুন লেপ তৈরির পাশাপাশি পুরানো লেপ-তোষক মেরামতের কাজ পুরোদমে চলছে।
কারিগররা আরো জানান, নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে শিমুল তুলার চেয়ে গার্মেন্টস তুলার চাহিদা বেশি। শিমুল তুলা দিয়ে তৈরি করা লেপের খরচ অনেক বেশি হয়। এর অর্ধেক দামে গার্মেন্টস তুলায় তৈরি লেপ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, বাজার মহল্লার দোকান ছাড়াও দোকানিরা ফেরিওয়ালার মাধ্যমে গ্রামে, পাড়া-মহল্লায় লেপ-তোষক ইত্যাদি পৌঁছে দিচ্ছেন।
গ্রামবাসী জানান, অনেকে সময়ের অভাবে হাট-বাজারে যেতে না পারলেও ফেরিওয়ালারা বাড়িবাড়ি গিয়ে লেপ-তোষক বিক্রি করছেন। এতে চাহিদামতো পন্য হাতের নাগালে মিলছে।