শুক্রবার, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।
শিরোনাম :
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে ঢাবিতে আনন্দ মিছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় ১৪ জেলা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলায় গ্রেফতার ২৬ জনই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত : ডিএমপি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে জরুরি আন্তর্জাতিক সম্মেলন চান ড. ইউনূস নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা সরকারি চাকরি পাবেন না : ক্রীড়া উপদেষ্টা ভারতে যেখানে আছেন শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা নাজিরপুরে সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউলসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মামলা পবিপ্রবিতে বিগত দিনের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তে ৪৯ সদস্যের কমিশন গঠন ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বিপৎসীমার ওপরে কীর্তনখোলার পানি

বেসরকারিতে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্যপদে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সূত্র মতে বর্তমানে সারা দেশে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের শূন্যপদ আছে ৬৮ হাজারের বেশি। এ শূন্যপদ পূরণ করতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় গত ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু সেখানে দেড় লাখের বেশি চাকরিপ্রার্থী আবেদন করলেও প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য কাউকে সুপারিশ করতে পারেনি এনটিআরসিএ। এ অবস্থায় নতুন করে আবারো ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদা দেয়া হয়েছে।

এ দিকে তুলনামূলক কঠিন বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া, নারী কোটায় কাক্সিক্ষত প্রার্থী না পাওয়া এবং চাকরিতে আছেন এমন ইনডেক্সধারীরা আবেদন করতে না পারায় বিশাল সংখ্যক পদ ফাঁকা রয়ে গেছে। এসব পদ পূরণ করতে কিছুটা ছাড় দিয়ে ‘বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান জানান, দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট প্রকট। শূন্য ৬৮ হাজার পদ পূরণ করার জন্য চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইংরেজি, আইসিটি, বিজ্ঞান, মাদরাসার সহকারী মৌলভি এবং নারী কোটার সংরক্ষিত পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৩৫ হাজার ৭২৯টি পদে কাউকে সুপারিশ করতে পারিনি। এসব পদ পূরণ করতে কিছুটা ছাড় দিয়ে বিশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে দ্রুত এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জানা গেছে, সারা দেশে শূন্যপদ পূরণ করতে গত ২১ ডিসেম্বর চতুর্থ নিয়োগ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে দেড় লাখের বেশি আবেদন পড়ে। গত ১২ মার্চ এই ফল প্রকাশ করা হয়। এতে মোট ৩২ হাজার ৪৩৮ জন নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন। ফলে এখনো ফাঁকা রয়েছে ৩৫ হাজার ৯৫২টি পদ। নিয়োগ সুপারিশ না করার কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, চাকরিরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ না দেয়া, ইংরেজি, আইসিটি, বিজ্ঞান, মাদরাসার সহকারী মৌলভি এবং নারী কোটার সংরক্ষিত পদের যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া। এর মধ্যে ইংরেজিতে সাড়ে ৮ হাজার পদ শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন পড়ে মাত্র ৪ হাজারের মতো। বিজ্ঞান বিষয়গুলোতে প্রায় ১০ হাজার শূন্যপদের বিপরীতে আবেদন পড়ে সাত হাজার। আইসিটি বিষয়ে আবেদন পড়েছে ৩ হাজার ১০০। এরপরও ৯ শতাধিক পদ শূন্য। এভাবে মাদরাসায় মৌলভি পদে সাড়ে তিন হাজার ও নারী কোটায় ১৪ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়ে গেছে।

দ্বিতীয়বার বিজ্ঞপ্তি দিলে কিভাবে শূন্যপদ পূরণ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, এবার হয়তো কিছুটা ছাড় দেয়া হবে। সেই কৌশল খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগে বিজ্ঞপ্তিতে নারী পদ বেশি ফাঁকা ছিল। এবারো তাই হয়েছে। এটা কিভাবে পূরণ করা যায় সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হবে।

অন্য দিকে প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাক্রমে নিচে থাকা প্রার্থীরা নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এসব ভুল যাচাই করে প্রকৃত মেধাবীদের নিয়োগ দিতে এনটিআরসিএকে স্মারকলিপি দিয়েছে একটি গ্রুপ। গত ১৯ মার্চ এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে দেয়া স্মারকলিপিতে ‘রোল নম্বর ব্লকজনিত’ কারণে তারা বাদ পড়েছেন বলে দাবি করেন। এ কারণে মেধাক্রমের ভিত্তিতে তারা দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ করার দাবি করেন।

এনটিআরসিএ থেকে জানা গেছে, ৬৮ হাজার ১৬৭টি শিক্ষকের শূন্যপদের মধ্যে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি শূন্য রয়ে গেছে। ১ থেকে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনে পাস করা সর্বোচ্চ ৩৫ বছরধারীরা এ নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন। এনটিআরসিএর হিসাবে, এখন পর্যন্ত ১৬টি নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস প্রার্থীদের মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৮ জন চাকরি পাওয়ার যোগ্য। সংস্থাটির প্রাথমিক হিসাবে, এখন পর্যন্ত এক লাখ প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন এবং তারা একটি পারসোনাল আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ইনডেক্স) পেয়েছেন। সেগুলো ব্লক করে রাখায় ফ্রেশার (নতুন) হিসেবে চাকরির আবেদন করলেও রোল নম্বর একই হওয়ায় ভালো নম্বর এবং মেধাতালিকায় এগিয়ে থেকেও চাকরির সুপারিশ পাননি তারা।

এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি গণবিজ্ঞপ্তিতে কাক্সিক্ষত পদের সমান সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায় না। এবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের সুপাারিশ না পাওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এর অন্যতম কারণ এবার চাকরিরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদনের সুযোগ না দেয়া। উদাহরণ দিয়ে এনটিআরসিএ বলছে, তৃতীয় বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৩৪ হাজার প্রার্থীর মধ্যে ইনডেক্সধারী প্রার্থীই ছিল ২১ হাজার ৮৭৩ জন, যা মোট নিয়োগের দুই-তৃতীয়াংশ। বাকি ১৪ হাজার ৬৬৭ জন নতুন সুপারিশপ্রাপ্ত। এরপর নির্ধারিত নারী কোটা। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৪ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়ে গেছে। এসব পদের যোগ্য নারী প্রার্থী না পাওয়ায় নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপর তুলনামূলক কঠিন বিষয়, যেমন ইংরেজি, আইসিটি, বিজ্ঞানের মতো বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। মাদরাসায় সহকারী মৌলভি পদের কাক্সিক্ষত যোগ্য প্রার্থীও পাওয়া যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com