বিয়ের প্রলোভনে মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবককে ধর্মান্তরিত করে তার সাথে প্রতারণার অভিযোগে বাংলাদেশী দুই তরুণ-তরুণীর বিরুদ্ধে কুয়ালালামপুরে মামলা করেছে ভুক্তভোগী।
এই ঘটনায় বাংলাদেশে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নওমুসলিম সাগর ইসলাম।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে দূতাবাস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ওসির কাছে বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী সাগর ইসলাম।
মামলার এজাহারে সাগর ইসলাম দাবি করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের নূরু মিয়ার প্রথম স্ত্রীর কন্যা সোনিয়ার সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। চার বছর প্রেমের পর উভয়ের সম্মতিতে আদালতে এফিডেভিড করে সোনিয়ার কথায় লিটন মজুমদার হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে সাগর ইসলাম নাম রেখে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর সোনিয়া প্রতারণার মাধ্যমে একই ইউনিয়নের আরিফ নামে মালয়েশিয়া প্রবাসীকে বিয়ে করে ফেলেন। সাগর ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে সোনিয়ার সাথে যোগাযোগ করেন। তখন সাগরকে আগের সম্পর্ক ভুলে যেতে বলা হয়।
সাগর ইসলাম তার টাকা-পয়সা ফেরত চাইলে সোনিয়ার দ্বিতীয় স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ আরিফ সাগর ইসলামকে হুমকি দিচ্ছেন। তার হুমকির ঘটনায় কুয়ালালামপুর ডাং ওয়াংগি থানায় সোনিয়া ও আরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে সোনিয়ার সাথে সাগর ইসলামর বিয়ের কাবিননামা ও তাদের দু’জনের কথোপকথনের ভিডিও সহ অন্যন্যা ডকুমেন্টস থাকার পরও সোনিয়া এবং সোনিয়ার বাবা মোঃ নুরু মিয়া অস্বীকার করছেন।
সাগরের মালয়েশিয়া প্রবাসী রুমমেট ভারতের কলকাতার নাগরিক চন্দন ঘোষ বলেন, আমি সাগর ইসলামের সাথে একসাথে কাজ কর্ম ও বসবাস করি। সোনিয়ার সাথে সাগর ইসলামের বিয়ের বিষয়টি আমিও জানি। সোনিয়া আমাকে দাদা বলে ডাকতো, সাগরের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যে প্রতারণা করা হয়েছে এটা ঠিক হয়নি। হিন্দু সমাজ থেকে আলাদা করে মুসলমান বানিয়ে প্রতারণা করা মোটেও ঠিক হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ওসি বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। তবে মালয়েশিয়া থেকে কসবা থানায় অনলাইনে অভিযোগ করার কোনো সিস্টেম নেই, যদি দূতাবাসের মাধ্যমে আমার অভিযোগ দায়ের করে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোঃ গোলাম সারোয়ার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় এখানে পদক্ষেপ নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী চাইলে বাংলাদেশে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।