বিশ্ব হার্ট দিবস আজ। হার্ট বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশে প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করা হয়। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘ইউজ হার্ট ফর এভরি হার্ট।’ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বিভিন্ন রোগে, আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশই হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের একজন হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের মাত্রা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী।
হার্ট অ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়। হঠাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়াও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যায় অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। যার দুই-তৃতীয়াংশের বসবাস বাংলাদেশসহ নিন্ম ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা করা না হলে বুকে ব্যথা, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল এবং হার্ট বিট অনিয়মিত হওয়ার শঙ্কা থাকে।
আশঙ্কার বিষয় হলো- সাম্প্রতিক সময়ে দেশে তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাতে অকাল মৃত্যু বাড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী হার্ট অ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরি জরুরি হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।