বিএনপি ও সম্প্রতি গঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলন কর্মসূচির বিষয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি নেই। তবে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীন দল। সরকারবিরোধী দলগুলোর কর্মসূচির ওপর তীক্ষ্ন নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় সব অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকে। কিন্তু বিএনপি একটা কথা বলার আগে আগপাছ বিচার করে না। তাদের সক্ষমতার বিষয়েও
আওয়ামী লীগ যে কোনো আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে জানিয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আন্দোলনের নামে হামলা, নৈরাজ্য, মানুষের জানমালের ক্ষতি, লাশের রাজনীতি, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা তথা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, কেউ যদি মনে করে আবারও ২০১৪ ও ২০১৫ সাল তৈরি করবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। ওই সময়ের মতো আর অরাজকতা করতে দেবে না এ দেশের মানুষ।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের মধ্যে যে প্রভাব পড়ছে এ সুযোগ বিএনপিসহ অন্য দলগুলো নিতে পারে এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তো সরকারের সৃষ্ট সমস্যা নয়। বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশেও বেড়েছে। আজ তো মিডিয়ায় দেখলাম, আগামী জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাজ্যেও দুই-তৃতীয়াংশ লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। কামাল আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। তাই দেশের মানুষকে সে রকম সংকটের হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু যারা কোনো রকম বোধ-বিবেচনা না করে আন্তর্জাতিক বাজারের খোঁজ না নিয়ে সস্তা স্লোগান দিচ্ছে তাদের কথা জনগণ শুনবে না।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, বিএনপির আন্দোলনের ডাক একটি গতানুগতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবেই বিবেচনা করছে আওয়ামী লীগ।