বিধ্বসী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক। দেশটিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটি নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতের সংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ওপর মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। একারণেই গত সোমবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
এই শহরটিই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্র এবং প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে। উদ্ধারকাজে বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করেছেন। তবে তিনি বলছেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।
“শুরুতে বিমানবন্দর এবং সড়কে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু আজ পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আগামীকাল আরও সহজ হবে,” বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
দক্ষিণাঞ্চলীয় কয়েকটি শহর পরিদর্শনের সময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সবই আমরা কাজে লাগিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাষ্ট্র তার কাজ করে যাচ্ছে।”
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে তীব্র রাজনৈতিক ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এ রকম দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য তুর্কী সরকারের কোনও ধরনের প্রস্তুতি ছিল না।
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দলের নেতা কেমাল কিলিচাদারুগলু বলছেন, এজন্য যদি একজনকেও দায়ী করতে হয়, তাহলে তিনি এরদোয়ান। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের ঠিক আগে এই জরুরি অবস্থা শেষ হবে। প্রায় ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।