শুক্রবার, ০২:৫৪ অপরাহ্ন, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যুতের বকেয়ার জন্য বাংলাদেশকে সময় বেঁধে দিলো আদানি

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পঠিত

আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।

রোববার (৩ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

অবশ্য এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার বকেয়া পরিশোধে আল্টিমেটাম দিলো প্রতিষ্ঠানটি।

সূত্রের বরাতে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর বকেয়া পরিশোধের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করেনি বিপিডিবি।

বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড থেকে গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) আদানির গোড্ডা প্ল্যান্ট ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাগুলোতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এনটিপিসির যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির বাগেরহাটের রামপাল প্ল্যান্ট এবং এসএস পাওয়ার আই এরই মধ্যে কয়লার ঘাটতির কারণে অর্ধেকেরও কম উৎপাদন করছে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া আরো উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ থেকে বকেয়া পরিশোধ খুবই ধীরগতিতে হচ্ছে, যার ফলে বকেয়া দিন দিন আরো বেড়েছে। সদ্য সমাপ্ত অক্টোবরে আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। এর আগের মাসগুলোতে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মাসিক বিলের বিপরীতে বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৫০ মিলিয়ন করে।

যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি আদানি। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, দ্রুতই এ বিষয়ে একটি সমাধানে আশাবাদী তারা।

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আদানির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কার্যকারিতাও শঙ্কায় পড়বে। কারণ শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এই কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ না দিলে তাদের একটি ৮০০ মেগাওয়াটের ইউনিট বেকার পড়ে থাকবে। যদি তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে মাসে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে বিল নিতে পারে তাহলে বছরে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে।

এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই আদানি গ্রুপ সতর্ক হয়ে যায়। কোম্পানিটির মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয় বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি শঙ্কায় পড়ে যেতে পারে। এ কারণে তারা ভারতের ভেতর বিদ্যুৎ সরবরাহের উপায় খুঁজতে থাকে। এখন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ না দিলে অভ্যন্তরীণ গ্রিডে যুক্ত হবে তাদের বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com