মঙ্গলবার, ০৮:০২ অপরাহ্ন, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
নোটিশ :
মানব সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সেবা প্রদানকারী সংবাদ তথ্য প্রতিষ্ঠান।

বিদেশী বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

সময়ের কণ্ঠধ্বনি ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৯৫ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে আদর্শ স্থান হিসেবে বর্ণনা করে পারস্পরিক সুবিধার্থে বৃহত্তর বিদেশী ও স্থানীয় বিনিয়োগ কামনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা। কারণ আমরা সর্বোচ্চ বিনিয়োগের সুযোগ দিয়েছি। তাই আমি আশা করি বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে বিনিয়োগ আসবে এবং স্থানীয় জনগণও নিজ দেশে বিনিয়োগ করতে অনুপ্রাণিত হবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩০০ কোটির বেশি মানুষের বাজার হতে পারে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আমাদের নিজেদেরই। আর পূর্ব দিকে ৫০ কোটি, উত্তর দিকে ১৫০ কোটি, পশ্চিমে ১০০ কোটি মানুষের বাজার রয়েছে। যোগাযোগ অবকাঠামো বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহনে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যারা বিনিয়োগ করবেন, তারা সমৃদ্ধ হবেন, আমাদের দেশেরও উন্নতি হবে।’ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনে (বিএসইজেড) স্থাপিত জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করেন।

এ সময় আড়াইহাজার প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসাইউকি হিওদো, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ অতিথিগণ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যখন ১৯৫৪ সালে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন তখনই তিনি প্রথম এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরে আবারো তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি কলকারখানা জাতীয়করণ করে পুনরায় চালু করেছিলেন। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল আমাদের কৃষি প্রধান দেশ, পাশাপাশি শিল্পায়নও ঘটবে। জাপান যেভাবে কৃষি নির্ভর দেশ থেকে শিল্পায়ন হয়েছে জাতির পিতা সবসময় জাপানকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতেন। জাপান আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। জাপান সবসময় আমাদের পাশে ছিল। এ সোনারগাঁ হোটেল, যমুনা সেতু নির্মাণ এমনকি পদ্মা সেতু নির্মাণেও জাপান সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অনেক অবদান রয়েছে। আমি জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরো বলেন, এখানে আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আমরা উপার্জন করছি। অনেক মানুষ এখানে কাজ করছে। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখেই আমরা এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তুলছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2021 SomoyerKonthodhoni
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com