বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানের যাত্রীদের তল্লাশি করা হচ্ছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদও। রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানে করে সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে জাতীয় ও দলীয় পতাকাসহ দলের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন। আবার কিছু কিছু পয়েন্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের অটোরিকশাকে পুলিশ নগরে প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নগরীর মডার্ন মোড় দিয়ে মানুষের যাতায়াত ছিল অনেকটা অবাধে। এর কিছু সময় পর মডার্ন মোড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশের একটি দল অবস্থান নেয়। নগরে ঢোকার পথে অটোরিকশা থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহনে শুরু হয় তল্লাশি।
সফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘মডার্ন মোড়ে আমাদের অটোরিকশাটি থামিয়ে দেয় পুলিশ। পরে বিএনপির কর্মী পরিচয় পাওয়ার পর আমাদের আর সমাবেশে যেতে দিল না। ’
তবে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিরামপুর থেকে আসা প্রায় ২০০নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে মডার্ন মোড় দিয়ে সমাবেশস্থলের দিকে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ওই বহর আটকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সকাল ১০টা পর্যন্ত মডার্ন মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে পুলিশের তল্লাশি শুরুর পর থেকে মর্ডান মোড়ে যান চলাচলের সংখ্যা কমে গেছে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর-পীরগঞ্জ সড়কের হাউদারপাড় নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জাতীয় ও দলীয় পতাকাসহ দলের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার এবং ফেস্টুন কেড়ে নেওয়াসহ ব্যানার ও ফেস্টুনে লাগানো লাঠি খুলে নিতে দেখা গেছে পুলিশকে।
রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে মহানগরীর মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, বাস টার্মিনাল, দর্শনা মোড়, মেডিকেল মোড়, সিও বাজার, পাকারমাথা, পান্ডারদিঘী, সোটাপীর মোড়, হনুমানতলাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট বসেছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের বলেন, পুলিশ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। তবে সন্দেহ হলে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে।