বিএনপি যে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেছিল তার অবস্থা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, ‘একটার পর একটা কর্মসূচি দেন। ২০৩০ সালের মধ্যে শুনেছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের কাউন্টার বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’। এটা কোথায় এখন?’
আজ সোমবার সকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপ-কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয় কল্পনাও করা যায় না। জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ বীর, যার নামে বাংলাদেশের ইতিহাসের দরজা খুলে যায় তিনি বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনেক কিছু শেখার আছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। শৃঙ্খলা না থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব না। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মেলন সাদামাটা হলেও নেতাকর্মী কমবে না। সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ঢল নামবে। দেশের মানুষ কষ্টে আছে ভেবেই এবার সম্মেলনে সাজসজ্জা করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষের কথা ভেবেই এবারের সম্মেলনে সাদামাটা করা হচ্ছে।’
করোনাভাইরাস মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে যে সংকট তৈরি হয়েছে, বাংলাদেশ সেই সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। প্রয়োজনের চেয়ে এখন আমাদের বেশি রিজার্ভ আছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সংকটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় শক্তি ছিল কৃষি ও কৃষক। আমাদেরও এখন সেটিই বড় শক্তি। এবারও কৃষিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন ‘খেলার ফাইনাল হয়ে গেলো। কিন্তু কোথাও বিদ্যুৎ নেই, এমন হয়নি। এবার কোথাও ভাঙচুর হয়নি। অথচ আগে বিশ্বকাপ হয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভাঙচুর হয়নি, এমনটা দেখা যায়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলার প্রতিফলন থাকা দরকার। আমরা গড়তে চাই স্মার্ট বাংলাদেশ। এর পূর্বশর্ত শৃঙ্খলা। সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়’
সম্প্রতি গঠিত জোট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে নাকি রাষ্ট্রকে মেরামত করার জোট হয়েছে। গতবার ২৩ দল ছিল, এবার ৩৩ দল হয়েছে। বাংলাদেশে জোটের অভাব নেই। এখানে বাম-ডান সব এক হয়ে গেছে। এখানে প্রগতি আর নেই। প্রগতিশীল আর প্রতিক্রিয়াশীল এক হয়ে গেছে, লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে হঠাও।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় থেকে এ রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন, তারা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবেন? মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। ধ্বংস করেছেন আপনারা। দুর্নীতি আর লুটপাট করেছেন। রাষ্ট্রকে মেরামত আমরাই করেছি। আমরাই করবো।’
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমানসহ শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সদস্যরা।