গোলাম কিবরিয়া বরগুনা :
অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমির সীমানার শতবর্ষী গাছসহ প্রায় ৩২/৩৫ টি বিভিন্ন জাতের গাছ কেটে বিক্রি করছে প্রতিপক্ষরা। পরে সেখানকার ভিটার জমিতেও জোর পূর্বক অবৈধ দখল করে রাস্তা নির্মানেরও অভিযোগ রয়েছে। প্রতিপক্ষ মিলন বয়াতি গংরা অবৈধভাবে এ কেটে বিক্রি করেন। তারা এ গাছ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা এ গাছ বিক্রিও করেন।
ভুক্তভোগী সাহেব আলী গাজি জানান, গত ৮ই মে ভিটার গাছ কেটে ও দুপুরে বামনায় জমি দখল করে অবৈধ রাস্তা নির্মান করে। তারা আমার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় থানায় জিডি করে বাড়ি ফেরায় তাকে বেধরক মারধর করেন। এসময় তিনি আহত অবস্থায় সাবেব আলী বামনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।
আহত সাহেব আলী জানান, মধ্যে আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মান্নান জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেনের সহিত পূর্ব থেকে আমার জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে, এর ধারাবাহিকতায় গত ৮ ই মে ২০২৩ ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার সময় আমার বাড়ির উঠানে বসিয়া উল্লেখিত বিবাধীগন অহেতুক আমি সাহেব আলী ও আইউব আলীর সাথে অহেতুক তর্ক-বিতর্ক করার এক পর্যায়ে অকথ্য ভাসায় গালি গালাজ করিয়া চলিয়া যাচ্ছেন এমনই সময় ঠিক আমার ভাই আইউব আলী প্রতি উত্তর করিলে উল্লেখিত সকল বিবাধীরা আমি ও আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুশি মারিয়া একখানা লাঠি দিয়ে শরীলের বিভিন্নস্থানে পিঠাইয়া ফুলা
জখম করে ফেলে রেখে যান। পক্ষান্তরে এসব বিবাধীরাই পূনরায় আমাদেরকে বিভিন্ন নানান ধরনের ভয়-ভীতিসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় আমার আত্মচিৎকারে ঘরের লোক এসে আমাদের( সাহেব আলী গাজি গং) উদ্ধার করে বামনা হাসপাতালে চিকিৎসা করান। আমরা এহেন অবৈধ দখল বাজ গাছ কেটে ও ( বাড়ির ব্যক্তি রাস্তা তৈরি ) দখলবাজদের বিচার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। এই সুযোগে তার পৈতৃক ও ওয়ারিশ গংদের জমির নানার আমলের পূরানো গাছ ৭ টি রেন্ট্রি গাছ দাম ( দেড় লক্ষ টাকা), ৬ টি চাম্পল গাছ দাম ( ৭২ হাজার টাকা), মেহগনি গাছ ১৬ টি দাম ( ৯৬ হাজার টাকা), বাদাম গাছ ২ টি স্থানীয় মূল্য ( ৭ হাজার টাকা) বিক্রি করছে।
বরগুনা জেলার বামনা উপজেলা সদরের মধ্যে আমতলীতে কবলা ক্রয়কৃত বসত ভিটার জমি জোর পূর্বক ফের (পূন:রায়) দখল করে রাস্তা নির্মানের অভিযোগও রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় বামনা থানায় সাহেব আলী গংয়ের জমি প্রতিপক্ষরা গাছ কেটে বিক্রি করেছে ও দখল করে রাস্তা জোর পূর্বক দখল করে রাস্তা তৈরির লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও সেই আইনী সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফের আবারও বসত ভিটার জমি দখল করছে তারা।
একদল সংবাদকর্মী সরেজমিনে গেলে এমন অভিযোগের সততা দেখা যায়। এ ঘটনায় বরগুনা এডিএম কোর্ট সাহেব আলী গাজির মামলাটি পছিকেশন আমলে নিয়ে দ্রুত আইনী ব্যবস্থার করবেন।
এ বিষয়ে সাহেব আলী গাজি জানান, আমাদের ক্রয়কৃত বসত ভিটার গাছ কেটে বিক্রি করছে ও জমি জোর পূর্বক দখল করে বামনা সদর ইউনিয়নের মধ্যে আমতলী গ্রামের মকফের বয়াতির ছেলে মিলন বয়াতি, আ: রশিদের ছেলে নয়া মিয়া, মৃত আ: মজিদের ছেলে শামসু মিয়া,মৃত মোহাম্মাদ বয়াতির ছেলে মো: মোখলেছ, মৃত নুরুল হক খলিফার ছেলে জয়নাল আবেদী ও আবদুল মান্নান জোমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেন ওরফে ইন কবির। তারা ৮ ই মে রাস্তা নির্মান করতে শুরু করলে আমি গত ১০ ই মে ২০২৩ ইং তারিখ তাদের বিরুদ্ধে বামনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ ঘটনাস্থালের রাস্তার নির্মান কাজ বন্ধ করে। তারা স্থানীয় শালিসী ব্যবস্থা করলে এদিন রাতেই আবার সাহেব আলী ও তার বড় ভাই আইউব আলীকে আবারও মারধর করেন। এসময় তিনি বামনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তখন থানা পুলিশ ও ওসি তদন্ত তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। পক্ষান্তরে বিবাদীরা আইনী শালিস বা বিচার ব্যবস্থা না মেনে ফের আবার ভিটার জমি দখল করে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করছে। তারা থানা পুলিশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব দখলদারী চালিয়ে যান। এমন ঘটনায় এলাকায় চরম অসন্তোষ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো: মাইনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় বরগুনা এডিএম কোর্ট ৪৪/৪৫ নিষেধাজ্ঞার অর্ডার দিয়েছেন। আমরা বিবাধীদের নোটিশ জারি করে দিয়েছি।