সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত বাবু সুনীল কুমার গুপ্তের বাসভবনে সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলা বিএনপি মিডিয়া সেল প্রধান জহির উদ্দিন স্বপনের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত বাবু সুনীল কুমার গুপ্তের আগৈলঝাড়াস্থ গ্রামের বাড়ীতে গত শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় ক্যাডাররা হামলা করে। এসময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রী সভার সদস্য সাবেক মন্ত্রীর ৯৫ বছরের বয়োবৃদ্ধ স্ত্রী কমলা গুপ্ত ও তার এক পুত্র বাড়ীতে অবস্থান করছিলেন।
হামলার সময় সরকার দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রয়াত মন্ত্রীর পুত্র ও বরিশাল জেলা উত্তর আহবায়ক কমিটির সদস্য বাবু সঞ্জয় গুপ্তের নাম ধরে তাকে খোজাঁখুজি ও ব্যাপক গালাগালাজ করে। তবে এসময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না। হামলাকারীরা একপর্যায়ে বাড়ীতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে । যাতে প্রয়াত মন্ত্রীর বাড়ীর জানার কাঁচ সহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে যায়। জানা গেছে, প্রয়াত মন্ত্রীর স্ত্রী কোমোলা গুপ্ত নিজে সাহায্য চেয়ে থানায় ফোন করলেও পুলিশ কোনো তৎপরতা চালায়নি।
বিএনপির সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত বাবু সুনীল গুপ্ত ও তাঁর পুত্র বিএনপি বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বাবু সঞ্জয় গুপ্তের বাড়ীতে হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান ও অত্র এলাকার সাবেক সাংসদ জননেতা জহির উদ্দিন স্বপন।
এক বার্তায় তিনি বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের দুঃশাসনে যে সমগ্র দেশ যে এক মহা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে সাবেক মন্ত্রী বাবু সুনীল কুমারের বয়োবৃদ্ধ স্ত্রী অবস্থানরত বাসভবনে সরকার দলীয় ক্যাডারদের গভীর রাতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা তারই জ্বলন্ত উদাহরণ।
বার্তায় মাত্র কয়েকদিন আগে একই এলাকায় আগৈলঝাড়া ঊপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও গৈলা ইউনয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন লাল্টুর বাড়ীতেও সরকার দলীয় ক্যাডারদের গভীর রাতে সশস্ত্র হামলার ঘটনা উল্লেখ করেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা গত পরশু সংঘটিত হামলা সহ সাম্প্রতিক সময়ে গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সকল ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন। অবিলম্বে তিনি এসব হামলা বন্ধে প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আওয়ামী তোষণ নীতি পরিহার করে কার্যকরী আইনগত ভূমিকা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।